বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Kidney: কিডনি প্রতিস্থাপন কেন্দ্রকে ১০ কোটি টাকা দান করলেন, নামও জানাতে চান না

Kidney: কিডনি প্রতিস্থাপন কেন্দ্রকে ১০ কোটি টাকা দান করলেন, নামও জানাতে চান না

কিডনি প্রতিস্থাপন কেন্দ্রকে ১০ কোটি টাকা দান করলেন এক ব্যক্তি। প্রতীকী ছবি (Joe Carrotta/NYU Langone Health via AP) (AP)

হাসপাতালের প্রধান, ডাঃ আশিস শর্মা জানিয়েছেন, কিডনি প্রতিস্থাপন করতে সবথেকে কম করে হলেও ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। জটিল পরিস্থিতিতে ২ লাখ টাকাও খরচ হয়। রক্তের সমস্যা থাকলে ৬ লাখ পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

চন্ডীগড়ের রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টার অফ দ্য পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ( PGIMER)কে  প্রায় ১০ কোটি টাকা দান করলেন এক ব্যক্তি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি আগে ওই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু তিনি তাঁর সঞ্চয় থেকে এই বিপুল অর্থ দান করলেও তিনি তাঁর পরিচয় সামনে আনতে চাননি। মনে করা হচ্ছে কিডনির সমস্যা রয়েছে এমন রোগীদের কষ্ট তাঁর মনকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এরপরই তিনি দান করেন এই বিপুল অর্থ।

সূত্রের খবর, গত অগস্ট মাসে এই সেন্টারে ২৪টি কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে। আর ওই ব্যক্তি এক রোগীর আত্মীয়। তাঁর কষ্টও সম্ভবত নাড়া দিয়েছিল তাঁর মনকে। কিন্তু ঢাক পিটিয়ে দান করেননি তিনি। একেবারে নীরবে তাঁর এই দান। তবে এনিয়ে সংস্থার তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু জানা গিয়েছে চেকের মাধ্যমে তিনি এই টাকা দিয়েছেন।

তবে এই বিপুল টাকা সংস্থা কীভাবে ব্যয় করা হবে তা এখনও ঠিক করতে পারেনি।তবে এত বড় ডোনেশন এর আগে সংস্থা কোনওদিন পায়নি।

এর আগে ৫০ লাখ মতো ডোনেশন পাওয়া গিয়েছিল।গত তিন বছরে হাসপাতালে গরিব কল্যাণ কোষের মাধ্যমে প্রায় ৯ হাজার রোগীর চিকিৎসা হয়েছে।

হাসপাতালের প্রধান, ডাঃ আশিস শর্মা জানিয়েছেন, কিডনি প্রতিস্থাপন করতে সবথেকে কম করে হলেও  ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। জটিল পরিস্থিতিতে ২ লাখ টাকাও খরচ হয়। রক্তের সমস্যা থাকলে ৬ লাখ পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

এরপরেও রোগীর প্রতি মাসে ১২০০ থেকে ১৫ হাজার টাকার ওষুধ লাগে। এদিকে দেখা যায় একটি কিডনির জন্য প্রায় ২৬০০ রোগী লাইন দিয়েছেন। এমনকী যাঁদের দাতা আছে তাঁদেরও একমাস, দুমাস অপেক্ষা করতে হয়।

বন্ধ করুন