গত বৃহস্পতিবার অসম সরকার একটি মাদ্রাসাকে গুড়িয়ে দিয়েছে। এবার এনিয়ে মুখ খুললেন AIUDF প্রধান বদরুদ্দিন আজমল। শনিবার তিনি জানিয়েছেন, মাদ্রাসার খারাপ ব্যাপারগুলি নিয়ে আমার কোনও সহানুভূতি নেই। সরকার যা চায় করতে পারে।
তিনি বলেন, ওদের জন্য আমার কোনও সিমপ্যাথি নেই। ওদের দেখলেই সরকার গুলি করে দিক। যদি মাদ্রাসাতে ১-২জন এই ধরনের খারাপ শিক্ষক বেরিয়ে পড়ে, সরকার আটক করুক, সরকার যা খুশি করুক।
তবে এর সঙ্গেই তাঁর সংযোজন জেহাদি মানসিকতা বা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা যেন কোনও ধর্মকে গুলিয়ে না ফেলেন। তিনি বলেন, জঙ্গিরা জঙ্গিই হয়। টেররিস্টরা হিন্দু বা মুসলিম হয় না। কেউ যদি দাড়ি রাখে আর টুপি পরে তার মানে এটা নয় যে সব মুসলিমরাই জেহাদি। তার মানে এটা নয় সব মাদ্রাসাই জেহাদি।
তাঁর দাবি, দেশে লাখ, লাখ মাদ্রাসা চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর এটা জানা দরকার স্বাধীনতা আন্দোলনেও মাদ্রাসার ছাত্ররা যোগ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, মাদ্রাসার ছাত্ররা শহিদও হয়েছিলেন। তাঁর এটা জানা দরকার মুসলিম উলেমারা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রথম যুদ্ধও শুরু করেছিল।
যদি কেউ বাংলাদেশ বা পাকিস্তান থেকে এদেশে আসে তবে তাদের রোখার দায়িত্ব কাদের? ভারত সরকার এটা দেখছে। আর্মি, বিএসএফ কী করছে? কেন তারা সীমান্তে আটকাচ্ছে না? সীমান্তেই তাদের মেরে ফেলুন। যারা বাইরে থেকে এসে এখানে ষড়যন্ত্র করছে তাদের প্রতি আমাদের কোনও সহানুভূতি নেই। তাদের মেরে ফেলুন, কিন্তু মাদ্রাসার বদনাম করবেন না। তাদের শাস্তি দিন কারণ তারা ভারতের মুসলিমদের অপমান করছেঅ।