ফের অস্ত্র পরীক্ষার পথে হাঁটল উত্তর কোরিয়া। কিম জং উন প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে যে একটি ‘কৌশলগত পারমাণবিক’ মিসাইল পরীক্ষা করা হয়েছে সে দেশের তরফে। উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এরই মাঝে আমেরিকার নৌসেনা বিশাল নৌহবর নিয়ে উপস্থিত হয়েছে কোরিয়া পেনিনসুলার কাছে। চিনও তাদের নৌবহর নিয়ে তৈরি রয়েছএ দক্ষিণ চিন সাগরে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই বিভিন্ন দেশের তরফে উত্তর কোরিয়াকে বারংবার সতর্ক করার সত্ত্বেও তারা পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা জারি রেখেছে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আমেরিকার যৌথ সামরিক মহড়া নিয়ে মোটেই খুশি নয় উত্তর কোরিয়া। এই পরিস্থিতিতে তাদের এহেন মিসাইল পরীক্ষা বেশ তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। এর কয়েকদিন আগেই দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাকে পারমাণবিক অস্ত্রের সাহায্যে নির্মূল করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং। আর এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশের মধ্যেই মার্কিন নৌবহরের আগমন ভালো চোখে দেখছে না উত্তর কোরিয়।
উত্তর কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা এই মিসাইল পরীক্ষা সম্পর্কে বলে, ‘নতুন ধরনের কৌশলগত নির্দেশিত অস্ত্র এটি... সামনের সারির দূরপাল্লার আর্টিলারি ইউনিটের শক্তিকে আরও ব্যাপকভাবে উন্নত করতে এবং কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র পরিচালনায় দক্ষতা বাড়াতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই পরীক্ষা।’ এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ বলেছেন যে তারা শনিবার গভীর রাতে ছোড়া দুটি মিসাইল সনাক্ত করা হয়েছে। ২৫ কিলোমিটার উচ্চতায় ১১০ কিলোমিটার উড়ে গিয়েছিল। এটির গতি ছিল প্রায় শব্দের গতি থেকে প্রায় চারগুণ।