মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন যুদ্ধ অনুশীলনের মাঝেই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ মহড়া জারি রাখে উত্তর কোরিয়া। গতপরশুও মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছিল উত্তর কোরিয়া। এই আবেহ এই মহড়কা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘সতর্কবার্তা’ হিসেবে আখ্যা দিলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। কিম দাবি করেছে, বিগত দুই সপ্তাহ দরে চলা মিসাইল উৎক্ষেপণের অনুশীলনে নয়া ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়েছে। পাশাপাশি কৌশলগত পারমাণবিক হামলার মহড়াও চালানো হয়েছে বলে দাবি করেন কিম। কিম বলেন, ‘আরও শক্তিশালী এবং সংকল্পবদ্ধ হয়ে আমরা আমাদের শত্রুদের স্পষ্ট বার্তা পাঠাচ্ছি। যারা বিশাল সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়ে এসে অবিরামভাবে এই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছে তাদের উদ্দেশে এই বার্তা।’
এর আগে গতপরশু কাঙ্গওন প্রদেশের মাঞ্চন এলাকা থেকে এই দুটি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়া হয়। এই ঘটনার পরই রবিবার উত্তর কোরিয়াকে পালটা হুঁশিয়ারি দিয়েছিল জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া। উল্লেখ্য, এর আগে বৃহস্পতিবারই উত্তর কোরিয়া থেকে মিসাইল উড়ে এসে জাপানের খুব কাছে পড়েছিল। বৃহস্পতিবার লঞ্চ করা এই মিসাইলটি নতুন ধরনের ভূমি থেকে ভূমি মিসাইল বলে দাবি করা হয়েছে। লতি বছর এই নিয়ে ২৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। বিগত দুই সপ্তাহের মধ্যে এটি উত্তর কোরিয়া অন্তত ছয়বাক মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে।
প্রসঙ্গত, আমেরিকার নেতৃত্বে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছে। এরই মাঝে উত্তর কোরিয়ার এই মিসাইল উৎক্ষেপণ প্ররোচনামূলক বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে উত্তর কোরিয়ার এই বেপরোয়া মিসাইল উৎক্ষেপণের পরই নড়েচড়ে বসেছেন দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, উপকূলবর্তী অঞ্চলে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর জয়েন্ট চিফ বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপের ফলে গোটা কোরিয়ান উপদ্বীপ অঞ্চলের শান্তি এবং নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবও অমান্য করা হয়েছে এই মিসাইল উৎক্ষেপণের মাধ্যমে।’ এদিকে কোরিয়া উপদ্বীপের কাছে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন ঘইরে অসন্তুষ্ট কিম জং উন। এই আবহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল উত্তর কোরিয়া।