সম্প্রতি কিছু সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হয়েছে যে অরুণাচলে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। সেই দাবি পুরোপুরি খারিজ করে দিলেন অরুণাচল প্রদেশের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি দাবি করেছেন, সংবাদ মাধ্যমের এই রিপোর্ট সত্যি নয়। তিনি বলেছেন, ‘ভারতের ভূখণ্ডে ঢুকে যদি তারা নিজেদের বলে লিখে রাখে তাহলে সেই দাবি সত্যি নয়। চিন আমাদের জমি নিতে পারে না।’
আরও পড়ুন: কল্যাণও আছেন, অভিজিৎও আছেন, ওয়াকফ বিলের পর্যালোচনায় তৈরি হল যৌথ সংসদীয় কমিটি
বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়া দাবি করা হয়, অরুণাচলের অঞ্জো জেলার কাপাপু এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। সেখানে আর্মির ব্যবহার করা আগুনের ছবি, পাথরে ছবি এবং চিনা খাবার সামগ্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে।
সোমবার রিজিজু দাবি করেছেন, ‘চিহ্ন আঁকার অর্থ এই নয় যে এলাকাগুলি দখল করা হয়েছে। চিন আমাদের জমি নিতে পারে না। ওই এলাকায় নিয়মিত টহলদারি চলে। তাদের স্থায়ী কিছু নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয় না। আমাদের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি রয়েছে। অনির্ধারিত স্থানে শুধু চিহ্ন আঁকার অর্থ এলাকা করা নয়।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা কাউকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে আসতে দেব না।’
উল্লেখ্য, লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত চিনের সঙ্গে দীর্ঘ ৩,৪০০ কিলোমিটার নিয়ন্ত্রণ রেখা রয়েছে। চিন বরাবরই দাবি করে আসছে যে অরুণাচল প্রদেশ সর্বদাই অংশ ছিল। তবে নয়াদিল্লি সেই দাবিকে ভিত্তিহীন এবং অবাস্তব বলে পালটা দাবি করেছে।
২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাসে এলএসি ভারত চিনের সেনাদের সংঘর্ষের পর দুদেশের সম্পর্কের অবনতি হয়। পরে কয়েক দফা কূটনৈতিক এবং সামরিক আলোচনার পর উভয় পক্ষ বিভিন্ন পয়েন্ট যেমন প্যাংগং লেকের উত্তর ও দক্ষিণ তীর, গোগরা এবং হট স্প্রিং থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে। সেই সময় ভারত ও চিনা কর্পস কমান্ডারদের মধ্যে ২০ টিরও বেশি আলোচনা হয়। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, এই অঞ্জো জেলায় প্রায়ই পিপিলস লিবারেশন আর্মি ঢুকে পড়ছে। জানা যায়, চাগলাগাম এলাকা থেকেই দু’বছর আগে দুই ভাই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। পরে খবর পাওয়া যায়, চিনা সেনা জোর করে ভারতীয় এলাকায় ঢুকে তাঁদের তুলে নিয়ে গিয়েছিল।