আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা আছে। তবে একটি ‘লক্ষ্মণরেখা’ থাকা উচিত। রাষ্ট্রদ্রোহ আইন মামলায় সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন রায়ের প্রেক্ষিতে এমননই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।
বুধবার সংবাদসংস্থা এএনআইতে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কী লক্ষ্য, সেটাও আদালতে জানিয়েছি আমরা। আদালত এবং আদালতের স্বাধীনতার প্রতি আমাদের সম্মান আছে। তবে একটা লক্ষ্মণরেখা থাকা উচিত।' যা সার্বিকভাবে রাষ্ট্রের সব স্তম্ভের পালন করে চলা উচিত বলে মনে করেন রিজিজু।
আরও পড়ুন: Sedition Law: রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে ‘স্থগিতাদেশ’ সুপ্রিম কোর্টের, জেলবন্দিরাও পাবেন মুক্তির সুযোগ
রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের মামলায় কী রায় সুপ্রিম কোর্টের?
বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না বলেছেন, যতদিন ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারার (রাষ্ট্রদ্রোহের ক্ষেত্রে জামিন-অযোগ্য ধারা, সেই ধারায় তিন বছর থেকে যাবজ্জীবন সাজার বিধান আছে) পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে, ততদিন ‘এই ধারাটি স্থগিত রাখা ঠিক হবে।’
যদিও বুধবার সকালে কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সওয়াল করেছিলেন, ১৯৬২ সালের কেদারনাথ মামলায় যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট ১২৪এ ধারার বৈধতা বজায় রেখেছিল, তাই আপাতত সেই ধারাকে স্থগিত করা উচিত নয়। সেটা সম্ভবত সঠিক পথ নয় বলেও সওয়াল করেছিলেন। বিকল্প হিসেবে মেহতা প্রস্তাব দিয়েছিলেন, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশিকা জারি জানানো হবে যে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার বা তাঁর থেকে উচ্চপদের কোনও পুলিশ অফিসার ছাড়া নয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা রুজু করা যাবে না। যে নির্দেশিকা নিয়ে পরে আদালতে আলোচনা করা হবে।
আরও পড়ুন: Marital Rape: বৈবাহিক ধর্ষণ কি অপরাধ? হাইকোর্টে মিলল না স্পষ্ট উত্তর, যাবে SC-তে
যদিও প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যদের বেঞ্চ বলেছে, এটা স্পষ্ট যে ১২৪এ ধারা সময়োপযোগী নয়। ঔপনিবেশিক শাসনের লক্ষ্যে সেই ধারা চালু করা হয়েছিল। 'আমাদের আশা, যখন বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে, ততক্ষণ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারায় কোনও এফআইআর দায়ের করা, তদন্ত চালু রাখা বা বিরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকবে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার।'
সেইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, যাঁরা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জেলবন্দি আছেন বা মামলা চলছে, তাঁরা নিজেদের বক্তব্য নিয়ে ট্রায়াল কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন। যা দ্রুত সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।