বিজেপি নেত্রী তথা আমেঠির প্রাক্তন সাংসদ স্মৃতি ইরানিকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এবার এ প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধীকে সমর্থন জানালেন আমেঠির কংগ্রেস সাংসদ কিশোরীলাল শর্মা। তিনি রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেছেন, যে কারও বিরুদ্ধে এই ধরনের ভাষা প্রয়োগ করা একেবারেই উচিত নয়।
আরও পড়ুন: স্মৃতি ইরানির প্রতি অপমানজনক ভাষা ব্যবহার করবেন না, বার্তা রাহুলের
কিশোরীলাল বলেন, ‘রাহুল গান্ধী ঠিকই বলেছেন। আমি তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে একমত। রাজনীতিতে জয় এবং পরাজয় একটি অংশ। কারও বিরুদ্ধে এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করা আমাদের সংস্কার নয়। কোনও রাজনীতিবিদকেই এই ধরনের ভাষা প্রয়োগ করা উচিত নয়।’ উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, যে স্মৃতি ইরানি বা অন্য কোনও নেতাকে অপমান করা শক্তির নয়, দুর্বলতার লক্ষণ।
এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে রাহুল গান্ধী লিখেছিলেন, ‘জীবনে জয়-পরাজয় হয়েই থাকে। আমি সকলকে অনুরোধ করছি অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। শ্রীমতি স্মৃতি ইরানি বা অন্য কোনও নেতার প্রতি কদর্য হওয়া থেকে বিরত থাকুন। মানুষকে এভাবে অপমান করবেন না।’ সেই বক্তব্যকেই সমর্থন করেছেন রাহুল গান্ধী।
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটে পরাজয়ের পর থেকেই বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা অবমাননাকর মন্তব্য করছেন বলে অভিযোগ উঠে আসছে। ২০১৯ সালে স্মৃতি ইরানি রাহুল গান্ধীকে আমেঠি কেন্দ্র থেকে পরাজিত করেছিলেন। অথচ একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত ছিল আমেঠি। তবে পালাবদল হয় ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে।
কংগ্রেস নেতা এবং গান্ধী পরিবারের অনুগত, কিশোরী লাল শর্মার কাছে দেড় লাখেরও বেশি ভোটে পরাজিত হন স্মৃতি ইরানি। অন্যদিকে, রাহুল গান্ধী এবার রায়বেরেলি এবং ওয়ানাড় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং দুটিতেই জয়ী হয়েছেন।ভোটে হেরে যাওয়ার পরে বিজেপি নেত্রী পরে একটি সংবাদ সম্মেলনে, তিনি সমস্ত বিজেপির দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন। এদিকে, ভোটে পরাজিত হওয়ার পরে স্মৃতি ইরানি কিছু কথা লিখেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তা নিয়েও একেবারে হইচই পড়ে যায় গোটা দেশ জুড়ে। যাঁরা তাঁকে সমর্থন করেছিলেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন স্মৃতি ইরানি।