২০০৫ সালের জুলাই মাস। মার্কিন প্রশাসন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ডি নিক্সন ও সেক্রেটারি অফ স্টেট হেনরি কিসিঙ্গারের একটা কথোপকথন সামনে এনেছিল। সেই কথোপকনটা হয়েছিল ১৯৭১ সালে ভারত আর পাকিস্তান যুদ্ধের ঠিক আগে। খবর এনডিটিভি সূত্রে।
কী ছিল সেই টেপে?
সেই টেপে দুজনকে বলতে শোনা যায় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সম্পর্কে। ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পরেই তাঁরা এনিয়ে নিজেদের মধ্য়ে কথা বলেছিলেন। নিক্সন সেই সময় ইন্দিরা গান্ধীকে ওল্ড উইচ বলে উল্লেখ করেছিলেন। আর কিসিঙ্গার আর এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে ইন্দিরা গান্ধীকে b***c বলে উল্লেখ করেছিলেন। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে যে শব্দ তাঁরা ব্যবহার করেছিলেন তা কতটা যুক্তিযুক্ত ঠিল, শোভনীয় ছিল সেই প্রশ্নটাও উঠছে।
সেই সঙ্গে ভারতীয়দের সম্পর্কেও অত্যন্ত অপমানজনক মন্তব্য কিসিঙ্গার করেছিলেন বলে খবর। ভারতীয়দের বাস্টার্ড বা বেজন্মা বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, ভারতীয় নারীদের সম্পর্কেও অত্যন্ত অপমানজনক শব্দ ব্যবহার করেছিলেন নিক্সন। তিনি বলেছিলেন ভারতীয় নারীরা অত্যন্ত সেক্সলেস ও প্যাথেটিক।
এদিকে গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন কিসিঙ্গার। তিনি বলেছিলেন ইন্দিরা গান্ধীকে তিনি সম্মান করেন।
তিনি এনডিটিভিকে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এই (মন্তব্যগুলিকে) ৩৫ বছর আগের একটি ঠান্ডা যুদ্ধের নিরিখে দেখা দরকার। সেই সময় আমি গোপনে চিনে গিয়েছিলাম। সেই সময় প্রেসিডেন্ট নিক্সন ছিলেন না। সেই সময় ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে কিছুটা জোট করার চেষ্টা করছিল।
কিন্তু ৭১এর যুদ্ধে কেন আমেরিকা পাকিস্তানকে সমর্থন করছিল?
আসলে সেই সময় ভারতীয় উপমহাদেশে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব পড়তে পারে এনিয়ে আশঙ্কায় ছিল আমেরিকা। সেকারণে সেই সময় আমেরিকা গোপনে চিনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। কারণ চিনের সঙ্গে সেই সময় ভারত আর সোভিয়েত ইউনিয়নের উভয়েরই ঝামেলা চলছে।
২০১৬ সালে একটি আটলান্টিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিসিঙ্গার বলেছিলেন, বাংলাদেশের সংকটটা বৃদ্ধি পেতেই আমেরিকা আর চিনের মধ্যে একটা অন্যরকম সম্পর্ক তৈরি হয়।