একদিকে ওমিক্রণ জুজু। অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। এই দুইয়ের সাঁড়াশি চাপ এখন গোটা দেশ তথা বাংলায়। তার মধ্যেই দক্ষিণ কলকাতার ফুসফুস রবীন্দ্র সরোবরে এবার কচিকাঁচাদের প্রবেশে অনুমতি মিলল। এই প্রবেশে জারি ছিল নিষেধাজ্ঞা। তবে সাবালকরা সেখানে প্রবেশ করতে পারছিলেন। এমনকী প্রাতঃভ্রমণ চলছিল জোরকদমে। শুধু বাকি ছিল শিশুরা। এবার তাতেও মিলল ছাড়পত্র। আজ, শনিবার থেকে খুদেদের জন্য খুলে দেওয়া হল রবীন্দ্র সরোবর।
জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ে রবীন্দ্র সরোবরের ভিতরের দুটি চিলড্রেন্স পার্ক–সহ গোটা লেকেই ঘুরে বেড়াতে পারবেন শিশুরা। তবে তাদের জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে ৮টা এবং বিকেল ৪টে থেকে ৬টা শিশুরা প্রবেশ করতে পারবে রবীন্দ্র সরোবর লেকে। এই অনুমতি জারি করেছেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ।
করোনাভাইরাসের জেরে এখানে শিশুদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন এখানে শিশুরা বেড়াতে আসতে পারেননি। পাশাপাশি এখানে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নের কাজও চলছিল। আবার আমফান, ইয়াস পরবর্তী সময়ে এখানে গাছ পড়ে অবস্থা তথৈবচ তৈরি হয়েছিল। এখানে দূষণও দেখা দিয়েছিল। আবর্জনা পড়ে থাকছিল। জলে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়েছিল। যার জন্য নতুন করে ফোয়ারা বসাতে হয়েছে। এখন সেজে উঠেছে রবীন্দ্র সরোবর।
এই বিষয়ে কেএমডিএ’র সিইও অন্তরা আচার্য বলেন, ‘রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো করোনাভাইরাস বিধি মেনেই বাচ্চাদের প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’ শিশুদের প্রবেশে অনুমতি দিতে অনুরোধ করা হয়েছিল। চিঠিও দেওয়া হয়েছিল। গত ২০ মাস ধরে রবীন্দ্র সরোবরে শিশুদের প্রবেশ নিষেধ ছিল। আজ থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে গেল।