প্রশান্ত ঝা
নরেন্দ্র মোদী
মহারাষ্ট্রের ভোট কার্যত বুঝিয়ে দিল ভারতীয় রাজনীতিতে সবথেকে শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব কে? মহারাষ্ট্র বিজেপির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই রাজ্যের ভবিষ্য়ৎ কী হবে সেটা ঠিক করবেন মোদীই। গত পাঁচ বছর ধরে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল সেটার অবসান হবে এবার। সেই সঙ্গেই রাজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রেও এবার একটা দিশা পাওয়া যাবে।
দেবেন্দ্র ফড়নবিশ
সংঘ পরিবার পছন্দ করে তাঁকে। ২০১৪ সালে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব তাঁকে তুলে আনেন। ফের ফিরছেন ফড়নবিশ। বিজেপির অন্দরে যে সমস্ত রাজ্য নেতা রয়েছেন যেমন যোগী আদিত্যনাথ বা হিমন্ত বিশ্বশর্মা সেই উচ্চতায় চলে গেলেন ফড়নবিশ। সংঘ পরিবারের মধ্য়ে তাঁর শেকড় রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাঁর কাজকর্ম চালাতে যথেষ্ট সুবিধা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
শরদ পাওয়ার
শরদ পাওয়ার যখন ১৯৬৭ সালে বিধানসভায় এসেছিলেন তখন ইন্দিরা গান্ধী সবে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছেন। তখন কেউ হয়তো ভাবতেই পারেননি ৫৭ বছর পরে আজও প্রাসঙ্গিক ৮৩ বছর বয়সি শরদ পাওয়ার। আদতে তিনি বরামতীর সন্তান। ভারতীয় রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রবীন ব্যক্তিত্ব। সামনে তাঁর রাজনৈতিক উত্তরাধিকার সংক্রান্ত একাধিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর অবশ্য়ই সেই সিদ্ধান্ত হবে যথেষ্ট কঠিন।
উদ্ধব ঠাকরে
এখন মানুষ বলছেন একনাথ শিন্ডের সেনার ভিত্তি কি আরও মজবুত নাকি প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সুবিধা তিনি পেলেন। নাকি বালাসাহেব ঠাকরের প্রকৃত ধারক ও বাহক হিসাবে তাঁকে মেনে নেয় জনতা। তবে এটা বলাই যায় উদ্ধব ঠাকরে ও পুত্র আদিত্য ঠাকরের সামনে এবার কঠিন পরীক্ষা। সেই পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে উভয়কেই।
একনাথ শিন্ডে
গত লোকসভা ভোটে মোটের উপর একনাাথ শিন্ডের দল কিন্তু অন্যান্য জোট সঙ্গীর তুলনায় ভালো ফল করেছিল। একাধিক কল্যাণমূলক প্রকল্প তিনি হাতে নিয়েছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম হল মহিলাদের হাতে সরাসরি টাকা পৌঁছে দেওয়া । অনেকে বলছেন এই প্রকল্পই খেলা ঘুরিয়ে দিল। বালাসাহেবের সময় থেকেই তিনি বেশ দক্ষ। শিবসেনার স্থানীয় স্তরে তাঁর পরিচিতি খুব ভালো।এগুলোও কাজে এসেছে।
অজিত পাওয়ার
কাকা গাইডেই চলতে তিনি। তৈরি হয়েছিল এনসিপি। মহারাষ্ট্রে। আর তিনিই পার্টির একদিকে যেমন ভালো মুখ তেমনি তিনিই খারাপ মুখ। এদিকে শরদ পাওয়ারের এনসিপির একটা পরিস্কার লক্ষ্য রয়েছে, ভালোটা( সংগঠন) যাতে ভাইপো না নেয় সেটা আটকানো হয়েছে। কিন্তু খারাপটা( দুর্নীতি) তাঁর উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হেমন্ত সোরেন
ভোটাররা দুর্নীতি পছন্দ করে না। কিন্তু বেছে বেছে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা আর বাকি দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে কিছু না করাকে পছন্দও করেন না ভোটাররা। আর যাকে টার্গেট করা হচ্ছে তিনি যদি পিছিয়ে পড়া অংশ থেকে আসেন তবে একটা প্রবল ধাক্কা লাগে। এটাই হয়েছে বার বার ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে। আর এটাই ফিরিয়ে দিল হেমন্ত সোরেনকে। ক্ষমতায়।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনের সংক্ষিপ্ত কিছু অংশ দেওয়া হল এখানে।