ডাক্তারি পাঠক্রম এমবিবিএসে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে এবার নিট পরীক্ষার রেজাল্ট সম্ভবত ১৬-১৭ অগস্ট বেরতে পারে। রেজাল্ট বের হওয়ার পরে কাউন্সেলিংয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এক্ষেত্রে একজন কাউন্সেলরের পরামর্শ নিতে পারেন পড়ুয়ারা। তিনি আপনাকে সঠিক তথ্য় দিতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট কাউন্সেলর তাঁর অভিজ্ঞতা ও অতীতের তথ্যের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে পারবেন।
রেজাল্ট বের হওয়ার পরে এই কাউন্সেলিংয়ের পর্ব শুরু হবে। এই প্রক্রিয়াটি চার মাস ধরে চলবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, MBBS, BAMS, BDA, BHMS, BSc Nursing সর্বক্ষেত্রেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভর্তি হতে হয়। তবে এক্ষেত্রে কোনওভাবেই দালালের খপ্পরে পড়া ঠিক হবে না। নিট কোয়ালিফাই করার পরেই কাউন্সেলিং প্রসেসে অংশ নেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে জেনারেল ক্যাটাগরিতে কোয়ালিফাইং কাটঅফ হতে পারে ৫০ পার্সেন্টাইল। এসসিএসটি পড়ুয়াদের জন্য এই কাট অফ হতে পারে ৪০ পার্সেন্টাইল।
গত বছর কাট অফ ছিল ১৩৮ এবার কাটঅফ হতে পারে ১৩০-১৩৫। তার মানে কাউকে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হতে গেলে এর থেকে বেশি নম্বর পেতে হবে।
কোনও পরীক্ষার্থী যদি ৬০০ নম্বরের উপর পান তবে তার সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ বেশি থাকছে।৫৮০-৬০০ পেলে এই সম্ভাবনা ক্রমেই কমতে থাকবে। আর ৫৮০র নীচে পেলে এই সম্ভাবনা একেবারেই নেই বললেই চলে। এর থেকে কম নম্বর পেলে কেবলমাত্র বেসরকারি ও ডিমড মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ থাকবে। এক্ষেত্রে এবিবিএস পড়তে বছরে ৬.৫ লাখ থেকে ২৫ লাখ পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তবে কোথাও কোনও ডোনেশনের দাবি কেউ করতে পারবেন না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৪৫০ এর উপর নম্বর থাকলে তিনি আবার পরীক্ষা দিতে পারেন।তার নীচে থাকলে অন্য় কোর্স নিয়ে ভাবনাচিন্তা করাই ভালো।