১৫ এপ্রিলের পরে দেশের রেল পরিষেবা ফের চালু হবে কি না, বা হলেও কী পরিমাণে রেল সফর করা যাবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবু জেনে রাখা ভালো রেল মন্ত্রক প্রকাশিত নয়া শর্তাবলী, যা প্রত্যেক যাত্রীকেই মেনে চলতে হবে।মনে রাখা দরকার, স্টেশনে ভিড় এড়াবার উদ্দেশে রেল পরিষেবা চালু হলেও বিক্রি হবে না প্ল্যাটফর্ম টিকিট। এ ছাড়া, ট্রেন ধরতে হলে ন্যূনতম ৪ ঘণ্টা আগে স্টেশনে পৌঁছতে হবে যাত্রীদের। কারণ কামরায় ওঠার আগে বেশ কিছু পরীক্ষা প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হবে তাঁদের। দেখে নেওয়া যাক লকডাউন পরবর্তী রেলসফরে কী কী নতুন নিয়মাবলী মানতে হবে যাত্রীদের।
Covid-19 সংক্রমণ রোধের উদ্দেশে লকডাউনের পরে শুধুমাত্র সাধারণ কামরাতেই সফর করা যাবে। বন্ধ রাখা হবে বাতালুকূল কামরা।
সফর শুরুর ১২ ঘণ্টা আগে নিজেদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে রেল-কে জানাতে হবে যাত্রীদের।
সফরকালীন যদি কোনও যাত্রীর মধ্যে Covid-19 এর উপসর্গ দেখা দেয়, সে ক্ষেত্রে তাঁকে অবিলম্বে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হবে।
সফর মাঝপথে বাতিল হলে যাত্রীকে ১০০% রেলভাড়া ফেরত দেওয়া হবে।
প্রত্যেক যাত্রীকে সামান্য মূল্যের বিনিময়ে একটি ফেস মাস্ক ও একজোড়া গ্লাভস দেওয়া হবে। সফর চলাকালীন এই দু’টি সামগ্রী ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।
বাইরের কোনও ভেন্ডরকে রেল কামরায় উঠতে দেওয়া হবে না।
বর্ষীয়ান নাগরিকদের রেল সফর না করার জন্য জোর দেওয়া হবে।
কামরায় ওঠার আগে স্টেশনের জীবাণুনাশক বিশেষ সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে যাত্রীদের।
রেল সফর চলাকালীন প্রত্যেক যাত্রীকে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে।
কামরার চারটি দরজাই যাত্রা শুরু হওয়ার আগে লক করে দেওয়া হবে, যাতে বহিরাগতদের প্রবেশ রোধ করা যায়। গোটা সফরে দরজা খোলা যাবে না।
অধিকাংশ ট্রেনই নন-স্টপ চলবে বলে জানিয়েছে রেল মন্ত্রক। অর্থাৎ যাত্রা শুরু ও শেষের দুই স্টেশন ছাড়া ট্রেন মাঝপথে কোনও স্টেশনে থামবে না। তবে কিছু কিছু রুটে নমধ্যবর্তী সর্বোচ্চ ২টি স্টেশনে ট্রেন থামতে পারে।
সামাজিক দূরত্ব বিধি মানতে কামরার সাইড বার্থগুলির বুকিং নেওয়া হবে না। ছয় বার্থের কেবিনে শুধু দুই জন যাত্রীর আসন সংরক্ষণ করা যাবে।
রেল মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ রোধে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নির্দিষ্ট সদস্যদের পরামর্শ মেনে লকডাউন উঠে গেলে উত্তর ভারতে সর্বমোট ৩০৭টি ট্রেন চালু হবে। অগ্রিম বুকিংয়ে চাপ এড়াতে বাতিল করা হবে ওয়েটিং লিস্টের অন্তর্ভুক্ত সমস্ত টিকিট।