ত্রিপুরায় এইডসে আক্রান্ত পড়ুয়াদের নিয়ে যে তথ্য সামনে এসেছিল তা নিয়ে এবার ব্যাখা দিল ত্রিপুরা স্টেট এইডস কন্ট্রোল সোসাইটি। তাদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ন্যাশানাল এইডস কন্ট্রোল প্রোগ্রাম ১৯৯৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে এই কর্মসূচি ত্রিপুরায় প্রয়োগ করা হয়েছে। ত্রিপুরা স্টেট এইডস কন্ট্রোল সোসাইটি সমস্ত প্রচেষ্টা জারি রেখেছি এই রোগ আটকানোর ক্ষেত্রে । সেটা সমস্ত গাইডলাইন মেনে করা হয়েছে। ন্যাশানাল এইডল কন্ট্রোল প্রোগ্রাম অনুসারে এটা করা হয়েছে।
তবে একটা রিপোর্ট ছড়িয়ে পড়েছে যে নানা ধরনের প্রিন্ট ও স্যোস্যাল মিডিয়ায় সেই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে বলা হয়েছে যে ত্রিপুরায় ৮২৮জন পড়ুয়া এইচআইভি পজিটিভ তাদের মধ্যে ৪৭জন মারা গিয়েছেন।
সেই তথ্য়ের পরিপ্রেক্ষিতে বলতে চাই যে আসল সংখ্য়াটা হল ৮২৮ ও ৪৭ এবং নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে যে তথ্য বলা হয়েছে সেটা ২০০৭ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত। সেই বছরগুলির মধ্যে ৮২৮জন পড়ুয়া ত্রিপুরার এআরটি সেন্টারে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করেছিলেন এটা হল ওই বছরগুলিতে সব মিলিয়ে কতজন পড়ুয়া তাঁদের নাম নথিভুক্ত করেছিলেন তারই গোটা সংখ্য়া।
সেই সঙ্গেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে ৮২৮জন পড়ুয়া গত কয়েক বছরে যারা এআরটি সেন্টারে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন তাদের ফ্রিতে ন্যাকোর গাইডলাইন মেনে প্রয়োজনী চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আর যে ৪৭জন মৃত্যুর কথা বলা হচ্ছে তা ২০০৭ সাল থেকে ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত।
সেই সঙ্গেই বলা হয়েছে ২০২২-২৩ সালে সব মিলিয়ে নতুন HIV সংক্রামিত হয়েছেন ১৮৪৭জন। মৃত্যু হয়েছে ৬৭জনের। ২০২৩-২৪ সালের HIV নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ১৭৯০জন। মৃত্যুর সংখ্য়া ৪৪জন। ত্রিপুরা রাজ্যের এই সংখ্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
মূলত এইডসে কতজন আক্রান্ত, কতজন মারা গিয়েছেন তা নিয়ে যাতে কোনওরকম বিভ্রান্তি না ছড়ায় সেকারণে একেবারে সামগ্রিকভাবে তথ্য়গুলি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।