অনুরাগ ঠাকুর। এবার মোদী মন্ত্রিসভায় নাম নেই তাঁর। এর আগে তিনি কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন তিনি। তবে মন্ত্রিত্ব না পেলেও দল ও দলের মিশনের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতায় যে এতটুকু কোথাও কম হবে না সেটা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
রবিবার এনিয়ে অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, একজন বিজেপি কর্মী হিসাবে কাজ চালিয়ে যাব। নরেন্দ্র মোদীর বিকশিত ভারতের ধারনাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য় তিনি কাজ চালিয়ে যাবেন।
একটি বিবৃতিতে অনুরাগ ঠাকুর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাঁর মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের তিনি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভার ওই সদস্যরা কাজ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উপযোগী। উন্নয়নের জন্য দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা কাজ চালিয়ে যাবেন।
এর আগে তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য় ও সম্প্রচার দফতরের মন্ত্রী। মন্ত্রিসভার নতুন টিমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, পঞ্চমবারের জন্য এমপি হিসাবে নিয়োগ পাওয়াটা আমার কাছে সম্মানের। আগামী দিনে তিনি হিমাচল প্রদেশের জন্য় ঠিক কী করবেন সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা জানিয়েছেন।
হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর লোকসভা আসন থেকে জয়ী হয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, বিজেপি এবারও পঞ্চমবারের জন্য় আমায় লড়ার সুযোগ করে দিয়েছিল। এর থেকে বড় সুযোগ আর কিছু হতে পারে না।
তিনি জানিয়েছেন, তিনি দলের কাজ চালিয়ে যাবেন। সমান আত্মত্যাগের সঙ্গে তিনি এই কাজ চালিয়ে যাবেন। তিনি জানিয়েছেন, আমাদের মূল কাজটা হল যাতে দেশ আরও এগিয়ে যায়। আমরা সকলে একসঙ্গে হেঁটে যাব। কারণ ভারত খুব গুরুত্বপূর্ণ, মোদী সরকার খুব গুরুত্বপূর্ণ, দেশের উন্নয়ন খুব গুরুত্বপূর্ণ। মোদীর নেতৃত্বের প্রতি তিনি তাঁর পূূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।
মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ার পরে সাধারণত কিছু অসন্তোষের ছবি দেখা যায়। তবে অনুরাগ ঠাকুর অন্তত প্রকাশ্যে তেমন কোনও অসন্তোষ প্রকাশ করেননি। তিনি পুরোপুরি মোদী মন্ত্রিসভার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে মোদী মন্ত্রিসভার অপর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য স্মৃতি ইরানিও এবার জিততেই পারেননি। তবে তিনি আগেই লিখেছিলেন হাউ ইজ দ্য জোশ, ইয়েস স্য়ার!
তবে এবার দেখা গিয়েছে যে মোদী মন্ত্রিসভায় আগে যারা ছিলেন তাঁদের অনেকেই এবার মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। তবে এবার বিজেপি তাদের শরিকদলকে কতটা গুরুত্ব দেয় সেটাই এবার দেখার।