পরাজিত অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লি বিধানসভা কেন্দ্রের বিরাট পটপরিবর্তন। গোটা দেশের পাখির চোখ ছিল দিল্লির দিকে।২৭ বছর পরে রাজধানীতে ক্ষমতায় ফিরল বিজেপি। পদ্ম ফুটল দিল্লিতে। রাজধানী দখল করল বিজেপি। আর সেই পরাজয়ের পরে কী বললেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল?
কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, 'জনতার যে রায় তা বিনম্রতার সঙ্গে স্বীকার করছি। জনতার রায় মাথা পেতে নিলাম। বিজেপিকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। যে বিশ্বাস নিয়ে বিজেপিকে মানুষ ভোট দিয়েছেন আমাদের আশা তা তাঁরা পূরণ করবেন। গত দশ বছরে আমরা যে সুযোগ পেয়েছিলাম তাতে অনেক কাজ করেছিলাম। শিক্ষা ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে। জল- বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও অনেক কাজ করেছিলাম। অনেক বিষয়ে আমরা দিল্লিবাসীর স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। দিল্লির সার্বিক পরিকাঠামো বদলানোর চেষ্টা করছিলাম। এখন জনতা যে রায় দিয়েছে তাতে আমরা কেবলমাত্র গঠনমূলক বিরোধীর ভূমিকায় থাকব এমনটাই নয়, আমরা সমাজসেবার কাজ চালিয়ে যাব। তিনি বলেন, রাজনীতিকে আমরা আদর্শ মানি। আমরা মানুষের সুখ দুঃখের পাশে থাকব। আমরা একই ভাবে জনতার সুখ দুঃখের পাশে থাকব। তিনি বলেন, আমরা জনতার সুখ দুঃখের পাশে থাকব। আপ নেতা কর্মীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি । তাঁরা সুন্দর ভোট লড়েছে। প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। সাহস দেখিয়েছেন। তাঁদের প্রচুর অভিনন্দন জানাচ্ছি। বললেন কেজরিওয়াল।
তবে কেন পরাজয় তা নিয়ে অবশ্য় তাঁর ওই বক্তব্যে একটি শব্দও খরচ করেননি কেজরিওয়াল। প্রশ্ন একটাই এই যে বিপর্যয় নেমে এল কেজরিওয়ালের শিবিরে তার পেছনে আসল কারণ কী ? তবে একাধিক আপ নেতৃত্ব জানিয়েছেন এনিয়ে পর্যালোচনা করা হবে।
বিজেপি প্রার্থী পরবেশ বর্মার কাছে ৪,০৪৯ ভোটে পরাজিত হলেন। ২০১৩ সাল থেকে নয়াদিল্লি বিধানসভা আসনে টানা তিনবার জিতেছিলেন কেজরিওয়াল। কিন্তু চতুর্থবারে সফল হতে পারলেন না। বরং দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়ে ৪৮ বছর পরে নয়াদিল্লি বিধানসভা কেন্দ্রে পদ্মফুল ফোটালেন পরবেশ।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলে একটা সময় দিল্লিবাসীর মন জয় করে নিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। ঝকঝকে শিক্ষিত মানুষ কেজরিওয়ালকে ঘিরে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছিলেন দিল্লির মানুষ। একেবারে অন্য় ঘরানার রাজনীতি করতেন কেজরিওয়াল। গোটা দেশ তাকিয়ে থাকত। আর পাঁচটা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রথম দিকে মিলত না। তবে তিনি কাজ কতটা করতে পারেন তা মাপছিলেন দিল্লিবাসীও।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গত কয়েকবছরে আপের রাজনীতিতে নানা বদল দেখা যাচ্ছিল। একের পর এক নেতা নেত্রী দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলছিলেন। জেলেও যেতে হয়েছিল কেজরিওয়ালকে। এবার একেবারে ক্ষমতার বৃত্তের বাইরে বেরিয়ে গেলেন তিনি।