মঙ্গলবার সংসদে বিদেশ নীতি সহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে বিরোধীদের একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।এবার বিরোধীরা পালটা জবাব দিলেন মোদীর মন্তব্যের।
মুখ খুলেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।তিনি জানিয়েছেন, আমার মনে হচ্ছে সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁর( প্রধানমন্ত্রী) যোগাযোগ নষ্ট হয়েছে। তাঁর বক্তব্য শুনে তেমনটাই মনে হল।
কংগ্রেস এমপি শশী থারুরও গোটা ঘটনায় মোদীর ভাষণকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, এটা পুরো নির্বাচনী বক্তব্য ছিল। কাল দিল্লি ভোট। তার আগে তিনি এটা মনে রেখেই এই ধরনের বক্তব্য রাখলেন।
কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি কে সি বেনুগোপাল জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্যে নতুন কিছু ছিল না। রাহুল গান্ধী যে সমস্ত প্রশ্ন তুলেছিলেন তার ভিত্তিতে একটা জবাবও দেননি প্রধানমন্ত্রী। গত কয়েকবছর ধরে প্রধানমন্ত্রী একই ধরনের বক্তব্য পেশ করেন। নতুন কিছু নয়।
সমাজবাদী পার্টি প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায় সরব। তাঁর মতে, মোদী মহাকুম্ভের পদদলিত হওয়ার ঘটনা নিয়ে কিছু বললেন না। অখিলেশ যাদব বলেন, কুম্ভ মেলায় অত বড় মর্মান্তিক ঘটনা হল। গোটা বিশ্ব দেখল। সরকার প্রাথমিকভাবে সব চাপা দিয়ে রেখেছিল। আর আজ দেখা যাচ্ছে কারোরই কিছু যায় আসে না।
এসপি এমপি ডিম্পল যাদব বলেন, প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের উপর বক্তব্য রাখতে এসেছিলেন মোদী। আমরা আশা করেছিলাম কুম্ভের ঘটনা নিয়ে ২ মিনিট নীরবতা পালন করবেন। এটা আমাদের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সেটা হল না।
এদিকে বিগত দিনের কংগ্রস সরকারকে কার্যত তুলোধোনা করেন মোদী। তিনি বলেন, আমাদের একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি মিস্টার ক্লিন বলতে চাইতেন। তিনি সমস্যাটা বুঝতেন। তিনি বলেছিলেন, যদি দিল্লির জন্য ১ টাকা আসে তবে ১৫ পয়সা গরীবদের কাছে যায়। একটাই দল রাজ্যে ও দেশ শাসন করত। পুরো লুঠ, হাত সাফাই চলত।
কী বলেছিলেন মোদী?
নরেন্দ্র মোদী এদিন তাঁর ভাষণে বলেন,' একজন মহিলা রাষ্ট্রপতিকে অপমান করা হচ্ছে। আমি রাজনৈতিক হতাশা বুঝতে পারি…কিন্তু কেন রাষ্ট্রপতিকে অপমান করা হচ্ছে? আজ ভারত এই ধরনের বিকৃত মানসিকতা ত্যাগ করে নারীর নেতৃত্বে উন্নয়নের মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে...'। এরইসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী বলেন,' জনসংখ্যার অর্ধেক পূর্ণ সুযোগ পেলে ভারত দ্বিগুণ গতিতে এগিয়ে যেতে পারে। আর কয়েক বছর ধরে ফিল্ডে কাজ করার পর আমার এই বিশ্বাস দৃঢ় হয়েছে।'