কোটা বিরোধী আন্দোলনে দফায় দফায় উত্তাল ঢাকা। পড়ুয়ারা নেমে এসেছেন রাস্তায়। চলছে আন্দোলন। তার মাঝেই কী বললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী?
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, বিষয়টি এখন আদালতে রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আদালত থেকে সমাধান না আসে আমাদের কিছু করার থাকে না। এটা বাস্তবতা। এই বাস্তবতা আন্দোলনকারীদের মানতে হবে। জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
সেক্ষেত্রে অনেকের মতে, এবার আদালতের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া অন্য উপায় নেই।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সব এলাকা সমানভাবে উন্নত নয়। অনগ্রসর সম্প্রদায় রয়েছে। সেসব এলাকার মানুষের কী কোনও অধিকার থাকবে না?
শেখ হাসিনা বলেন, আদালত তাদের সুযোগ দিয়েছে। তারা আদালতে যাক। বলুক।
এদিকে আন্দোলনকারীরা তো সরকারি সিদ্ধান্তের দিকেও তাকিয়ে রয়েছেন?
সেই প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আদালত যখন কথা বলছেন, যখন রায় হয়েছে আমার তো বলার কোনও অধিকার নেই। রায়ের বিরুদ্ধে আমার দাঁড়ানোর কোনও অধিকার নেই। যতক্ষণ না পর্যন্ত আদালত থেকে সমাধান না আসে, আমাদের কিছু করার থাকে না। এটা বাস্তবতা। এই বাস্তবতা তাদের মানতে হবে। না মানলে কিছু করার নেই।
এখানেই থেমে থাকেননি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রাজপথে যারা আন্দোলন করে যাচ্ছেন তারা আন্দোলন করতে থাকবেন। যতক্ষণ তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছে কেউ কিছু বলবে না। তবে তারা কোনও ধ্বংসাত্মক কাজ করতে পারবে না। এর বাইরে কিছু করলে যেমন পুলিশের গায়ে হাত দেওয়া বা পুলিশের গাড়ি ভাঙা। এগুলো যদি হয় তখন আইন তার নিজের গতিতে চলবে।
এদিকে রবিবারও থামেনি আন্দোলন। ছুটির দিনেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। পদযাত্রায় শামিল হন তারা। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা এই কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিলেন।
আন্দোলনকারী নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, আমাদের থামানো যায়নি। আমরা চাইছি না কঠোর কর্মসূচিতে যেতে। আমরা চাই দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হোক। আগামী ২৪ ঘণ্টা আমরা অপেক্ষা করব, তারপর পরবর্তী কর্মসূচির পথে যাব আমরা।
এদিকে রাজপথে নেমে এসেছেন পড়ুয়ারা। দফায় দফায় চলছে স্লোগান। উত্তাল রাজপথ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হন তাঁরা। তাঁদের দাবি, মেধার ভিত্তিতে চাকরি হওয়াটা বাঞ্চনীয়। কোটা প্রথায় চাকরি মানব না। এটা কোনওভাবেই মানা যায় না।