ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপির তারকা প্রচারকরা একেবারে পুরো শক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু ফলাফল বের হতেই দেখা গিয়েছে এবারের নির্বাচনে বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি বিজেপি। তীরে এসে তরী ডুবেছে বিজেপির। এবার প্রশ্ন এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে সমস্ত জায়গায় সভা করেছিলেন সেই সব জায়গার কী অবস্থা!। খবর লাইভ হিন্দুস্তান সূত্রে।
সূত্রের খবর, চাইবাসা, গাড়োয়া, গুমলা, চন্দনকিয়ারি, শরৎ ও গোড্ডায় নির্বাচনী জনসভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে প্রধানমন্ত্রী মোদী যে ছয়টি জায়গায় জনসভা করেছিলেন, তার মধ্যে কেবল গাড়োয়া কেন্দ্রেই বিজেপি জিতেছে। রাঁচিতে রোড শো করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সেখানে জয়ী হল বিজেপি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সিমারিয়া, ঘাটশিলা, ছত্তরপুর, হাজারিবাগ, পোটকা, সেরাইকেলা, তামার, ধানবাদ, বাঘমারা, গিরিডি, গান্ডেয়া, ডুমরি, দুমকা, মধুপুর এবং ধানওয়ারে জনসভা করেছিলেন এবং জামশেদপুরে রোড শো করেছিলেন। যার মধ্যে সিমারিয়া, হাজারিবাগ, বরকাহওয়া, সেরাইকেলা, বাঘমারা ও ধানওয়ারে সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। রাঁচির বিশরামপুর, বাগোদর, জামুয়া, গোমিয়া, সিন্দ্রি ও নালায় প্রবুদ্ধ সম্মেলনের আয়োজন করেন জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এর মধ্যে বিজেপি জিতেছে কেবল বাগোদর, জামুয়া আসন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মোট ১৭টি জনসভা করেছেন। যেখানে বরকাগাঁও, পাঙ্কি, কোডারমায় বিজেপি প্রার্থীরা সফল হয়েছেন।
ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং এনডিএ (এনডিএ) এর তারকা প্রচারকরা ১ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে জনসভা এবং পথসভা করেছিলেন। এই ১৮ দিনে রাজ্যজুড়ে প্রায় ১৬১টি নির্বাচনী সভায় অংশ নিয়েছিলেন এই তারকা প্রচারকরা। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ২৫টি, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ৩৮টি সভায়, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ৭টি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ৪টি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জুয়াল ওরাম ৭টি, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ১৩টি সভায় ভাষণ দিয়েছিলেন। এদিকে, উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী ০২, বিজেপি রাজ্য সভাপতি বাবুলাল মারান্ডি ১৫, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা ৬, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পেই সোরেন ২৩, মুখ্যমন্ত্রী ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি ২, অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী ৫, মনোজ তিওয়ারি ২, দীনেশ লাল নিরাহুয়া ২, অনিল অ্যান্টনি ২, চিরাগ পাসোয়ান ৮টি সভা করেছিলেন এবং জনসাধারণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছিলেন।
কার্যত এবার বিজেপির কাছে পাখির চোখ ছিল ঝাড়খণ্ড। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।