এনসিইআরটি তাদের পাঠ্যপুস্তক থেকে সংবিধানের প্রস্তাবনা তুলে দিচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে এবার তা নিয়ে মুখ খুলেছে এনসিইআরটি।
এনসিইআরটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এনসিইআরটির পাঠ্যপুস্তক থেকে সংবিধানের প্রস্তাবনা তুলে দেওয়া হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা পুরো ভিত্তিহীন। এই প্রথম এনসিইআরটি পাঠ্যপুস্তকে ভারতের সংবিধানের উপর বিশেষ জোর দিচ্ছে। প্রস্তাবনা, মৌলিক কর্তব্য, মৌলিক অধিকার, জাতীয় সংগীত সব থাকছে। প্রস্তাবনাতেই একমাত্র সংবিধানের বিষয়গুলি থাকছে এটা ভাবাটা ত্রুটিপূর্ণ। কেন বাচ্চারা সংবিধানের ধারনা নেওয়ার জন্য কেবলমাত্র প্রস্তাবনা পড়বে? জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে আমরা সব বিষয়গুলির উপর সমানভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি।
এদিকে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান মঙ্গলবার এনসিইআরটি পাঠ্যপুস্তক থেকে সংবিধানের প্রস্তাবনা বাদ দেওয়ার অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে কংগ্রেস এই বিষয়টিকে তার ‘মিথ্যার রাজনীতি’ অনুসরণ করার জন্য ব্যবহার করছে, যা বিরোধী দলের ঘৃণ্য মানসিকতার প্রমাণ দেয়।
কংগ্রেস বরাবরই ভারতের উন্নয়ন ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঘৃণা করে এসেছে বলে অভিযোগ করে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, যারা শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলছেন এবং ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে আবর্জনা বলছেন, তাদের মিথ্যা প্রচার করার আগে সত্যিটা জানার চেষ্টা করা উচিত।
ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি)-এর পাঠ্যপুস্তক থেকে সংবিধানের প্রস্তাবনা বাদ দেওয়া হয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হওয়ার মধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী এই মন্তব্য করলেন।
এনসিইআরটি-র কারিকুলাম স্টাডিজ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান রঞ্জনা অরোরা সোমবার স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে এই অভিযোগ সত্য নয়।
এনসিইআরটি-র পাঠ্যপুস্তক থেকে সংবিধানের প্রস্তাবনা বাদ দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। এই প্রথমবার জাতীয় শিক্ষানীতির আওতায় এনসিইআরটি পাঠ্যপুস্তকে ভারতীয় সংবিধানের বিভিন্ন দিক – প্রস্তাবনা, মৌলিক কর্তব্য, মৌলিক অধিকার, জাতীয় সঙ্গীতকে যথাযথ গুরুত্ব ও সম্মান দিয়েছে।
কিন্তু মিথ্যার রাজনীতির জন্য শিক্ষার মতো বিষয়কে ব্যবহার করা এবং এর জন্য শিশুদের সাহায্য নেওয়া কংগ্রেস দলের ঘৃণ্য মানসিকতার পরিচয় দেয়। মেকলের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কংগ্রেস বরাবরই ভারতের উন্নয়ন ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঘৃণা করে এসেছে।
তাঁর দাবি, শুধুমাত্র প্রস্তাবনায় সাংবিধানিক মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটেছে, এই যুক্তি সংবিধান সম্পর্কে কংগ্রেসের বোধগম্যতাকে উন্মোচিত করে। কংগ্রেসের পাপের পাত্র ভরা এবং যাঁরা আজকাল 'ভুয়ো সংবিধানপ্রেমী' হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, সংবিধানের কপি নাড়াচ্ছেন, তাঁদের পূর্বপুরুষরা বারবার সংবিধানের মূল স্পিরিটকে হত্যা করেছেন।
যদি কংগ্রেস দলের মধ্যে সামান্যতম লজ্জা ও অনুশোচনা থেকে থাকে, তবে তাদের প্রথমে সংবিধান, সাংবিধানিক মূল্যবোধ এবং এনইপি বোঝা উচিত এবং দেশের শিশুদের নামে ক্ষুদ্র রাজনীতি করা বন্ধ করা উচিত। বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।