বেঙ্গালুরুর প্রযুক্তিবিদ অতুল সুভাষের অস্বাভাবিক মৃত্যু ও তাঁর সুইসাইড নোটকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তিনি সেই নোটে তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ তুলেছেন। কীভাবে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল সেকথা তিনি উল্লেখ করেছিলেন। তবে অতুলের স্ত্রীর কাকা সুশীল সিংহানিয়া সেই সব অভিযোগ কার্যত মানতে চাননি। তিনি জানিয়েছেন, বছরের পর বছর ধরে সুভাষের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি। তাঁদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটা ঠিক নয়।
প্রসঙ্গত অতুল সুভাষ নামে ওই তথ্যপ্রযুক্তিবিদের (আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স ইঞ্জিনিয়ার) স্ত্রী , শাশুড়ি নিশা-সহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭০ বছর বয়সি সুশীল এই ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারলাম আমার নাম এফআইআরে রয়েছে। কিন্তু আমি এই বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত নই। তিন বছর ধরে কেস চলছিল। তখন থেকেই ওদের সঙ্গে দেখা নেই।
তিনি বলেন, কী হয়েছে আমি বলতে পারব না। আমরা দোষী নই। প্রসঙ্গত ৩৪ বছর বয়সি অতুল সুভাষ গত ৯ ডিসেম্বর আত্মহত্যা করেছিলেন বলে খবর। তিনি তাঁর স্ত্রী ও স্ত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিলেন।
একটি সুইসাইড নোটও মেলে। তার ভিত্তিতে সুশীল সিংহানিয়া, অতুল সুভাষের স্ত্রী, তাঁর মা, ভাইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। সুভাষের ভাই এই অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগকারীর দাবি, গোটা মামলাটির মিমাংসার জন্য ৩ কোটি টাকা চেয়েছিল ওরা আর চার বছরের সন্তানকে দেখতে দেওয়ার বিনিময়ে ৩০ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল।
এদিকে বিভিন্ন মহলের তরফে দাবি করা হচ্ছে ওই সুইসাইড নোটের ছত্রে ছত্রে রয়েছে অতুলের স্ত্রী ও স্ত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে ভয়াবহ নির্যাতনের অভিযোগ। জৌনপুরের পারিবারিক আদালতের এক বিচারপতির বিরুদ্ধেও তিনি লিখেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। সেই ডেথ নোটে একাধিকবার লেখা হয়েছে, ন্যায় বিচার এখনও পেলাম না। এমনকী বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর চিতাভষ্ম যাতে জলে ভাসানো না হয় সেটাও রয়েছে ওই নোটে।
এদিকে মৃত্যুর আগে একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করেছিলেন তিনি। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছিলেন ঠিক কী ধরনের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হত তাঁকে। আর তার পরিণতিতেই তিনি এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন। তিনি বার বার তাঁর স্ত্রী ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের উপর একাধিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন।