দেশে প্রথম করোনা কেস হওয়ার ১৩৭ দিনের মাথায় দশ লক্ষ কেস হল ভারতে। এর মধ্যে অবশ্য অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩৪২৪৭৩। কিন্তু সারা দেশ জুড়ে নয়, বড় দশটি শহরেই আছে এই অ্যাক্টিভ কেসের অর্ধেক।
অ্যাক্টিভ কেস অর্থাৎ মোট কেসের থেকে সুস্থ হওয়া রোগী ও মৃতদের বাদ দিলে যে সংখ্যাটি থাকে। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৩৫৭৫৬। মৃত ২৫,৬০২। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ স্বাস্থব্যবস্থার ওপর কতটা চাপ পড়ছে এটা তার সূচক। এটা মাথায় রাখতে হবে যে সমস্ত করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি নেই। যাদের পরিস্থিতি খারাপ, তারাই আছে হাসপাতালে।
এই মুহূর্তে মোট অ্যাক্টিভ কেসের প্রায় ৫৩ শতাংশ দশটি বড় শহরে আছে। দেশের যে দশটি জেলায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কেস আছে, তাদের মধ্যে শুধু রায়গড় (৫১৯২) ও পালঘর (৪৯১৬) বাদ দিলে বাকি সবগুলি শহরাঞ্চলে।
সবচেয়ে অ্যাক্টিভ কেস যে শহরে আছে সেটা হল মুম্বই সংলগ্ন থানে। পুনে আছে তৃতীয় স্থানে ও মুম্বই চতুর্থ স্থানে।
তবে এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হায়দরাবাদের যেখানে মোট আক্রান্তের প্রায় ৯৯ শতাংশই অ্যাক্টিভ। অর্থাৎ আচমকা কেসের সংখ্যা মারাত্মক বেড়েছে যারা সেরে ওঠেননি। প্রথম দশটি শহরের মধ্য অ্যাক্টিভ কেসের নিরিখে সবচেয়ে নীচে দিল্লি। মাত্র ১৫ শতাংশ অ্যাক্টিভ কেস রাজধানীতে। মোট কেসের সংখ্যায় অষ্টম স্থান ও অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যায় ষষ্ঠ স্থানে আছে কলকাতা।
রাজ্যগুলির নিরিখে প্রত্যাশিত ভাবেই অ্যাক্টিভ কেস সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। সেখানে ১১৪৯৪৭ অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে। মহারাষ্ট্রে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা এই মুহূর্তে পরবর্তী চারটি রাজ্য তামিল নাড়ু, দিল্লি, কর্নাটক ও গুজরাতের থেকে বেশি।
অ্যাক্টিভ কেস দ্রুত বাড়ছে কর্নাটকেও যেটি নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ ও মোট কেসের নিরিখে অষ্টম স্থানে পশ্চিমবঙ্গে। অ্যাক্টিভ কেসের পরিমাণ শতাংশের হিসাবে জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি।