বড়সড় বিপদের মুখ থেকে রক্ষা পেল এয়ার এশিয়ার লখনউ-কলকাতা বিমান। আজ লখনউ থেকে এয়ার এশিয়ার আই৫-৩১৯ উড়ানটি আকাশের উড়তেই পাখির বাড়ি খায়। এরপরই সেটি গন্তব্যের দিকে না গিয়ে লখনউ বিমানবন্দরেই জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করে। বিমানটিকে পরীক্ষা করার জন্য 'গ্রাউন্ড' করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে লখনউতে অবতরণের পর বিমানের যাত্রীদের নেমে যাওয়ার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এয়ার এশিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানের সকল যাত্রীরা নিরাপদে আছেন। পাখির বাড়ি খেয়ে বিমানের কোনও ক্ষতি হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গতবছর স্পাইসজেট, ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়ার মতো সব বিমান সংস্থার উড়ানেই বিভ্রাট দেখা গিয়েছে। একাধিক ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল ডিজিসিএ। এই মাসেই প্যারিসগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে দিল্লিতে ফিরে এসে জরুরি অবতরণ করেছিল। এদিকে অপর এক ঘটনায় গত ২৪ জানুয়াকি এক যাত্রী ইন্ডিগোর একটি বিমানের ইমারজেন্সি গেট খোলার চেষ্টা করেন। তখনও সেই বিমান মাঝ আকাশে ছিল বলে জানা গিয়েছে। যা নিয়ে বিস্তর তোলপার শুরু হয়েছে।
ইন্ডিগোর এক সিনিয়ার কেবিন ক্রু-র অভিযোগের ভিত্তিতে যাত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। ৬ই-৫২৭৪ উড়ানে থাকা এক যাত্রী মাঝ আকাশেই বিমানের ইমারজেন্সি গেট খোলার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। উড়ানটি ১১টা ৫ মিনিটে নাগপুর ছাড়ে। ১২টা ৩৫ মিনিটে সেটা মুম্বইয়ে অবতরণ করে। অবতরণের একটু আগে ইন্ডিকেটরে দেখায় যে কেউ একজন ইমারজেন্সি গেট খোলার চেষ্টা করছেন। এরপরই কেবিন ক্রু সদস্যরা ছুটে যান ইমারজেন্সি গেটের কাছে। সেখানে গিয়ে দেখেন, এক যাত্রী ইমারজেন্সি গেট খোলার চেষ্টা করছেন। তখন সেই যাত্রীকে আটকান বিমানকর্মীরা।
গতবছরই ডিসেম্বরই দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি তেজস্বী সূর্য বিমানের ইমারজেন্সি গেট খুলে দিয়েছিলেন। কয়েকদিন আগেই সেই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। তবে নিজের কাজের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়ে সহযাত্রীদের চিঠি লিখেছিলেন বলে দাবি করেন সূর্য। বিরোধীরা এই নিয়ে সোরগোল তুললেও খোদ অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিষয়টিকে হালকা ভাবে নিয়েছিলেন। এই সব বিতর্কের মাঝেই আবারও বিমানের ইমারজেন্সি গেলট খোলার চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক বিমান যাত্রীর বিরুদ্ধে।