হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় উচ্চ পদস্থ পদে এবার এক কলকাতার বাসিন্দা। মায়াঙ্ক দেব কুমার কলকাতার সেন্টজিভিয়ার্স স্কুলের ছাত্র। কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে সামাজিক ন্যায়ই মায়াঙ্কের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তিনি। হার্ভার্ডের পড়ুয়াদের যে সমস্ত বিষয়গুলি ভাবাচ্ছে বা উদ্বেগে রাখছে, তা নিয়েও কথা বলছেন মায়াঙ্ক। তিনি বলছেন পড়ুয়াদের স্বার্থে তিনি কাজ করতে ব্রতী।
মায়াঙ্ক বলছেন, গ্র্যাজুয়েট স্কুলগুলিতে আরও বেশি সংযোগ গড়ে তুলতে তিনি আগ্রহী। বিশেষত কোভিড পরবর্তী সময়ে এই প্রথম অ্যাকাডেমিক বছরে তিনি পড়ুয়াদের স্বার্থের কথা ভেবে এগিয়ে যেতে চান বলে জানাচ্ছেন মায়াঙ্ক। হার্ভার্ডের ১২ টি গ্র্যাজুয়েট ও প্রফেশনাল স্কুলে তিনি আরও বেশি করে ফেলোশিপ তৈরির পক্ষে সওয়াল করেন। এছাড়াও পড়ুয়াদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ের দিকটিতেও তিনি খেয়াল রাখবেন বলে জানাচ্ছেন মায়াঙ্ক। প্রসঙ্গত, দেশ থেকে দূরে বিদেশের মাটিতে এক কলকাতার ছেলের এহেন সাফল্য বেশ খানিকটা নজর কেড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ারও। মায়াঙ্ক গ্র্যাজুয়েট হবেন ২০২৩ সালে। তার আগে তিনি চাইছেন মার্কিন মুলুকের এই নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের মধ্যে রাজমৈতিক সচেতনতা তলে ধরতে। তিনি চান, সাম্প্রতিক বিশ্বের এমন এক তৎপর রাজনৈতিক সময়ে হার্ভার্ডও রাজনৈতিক সচেতনতার মূল ধারা ফিরে পাক।
মূলত, এই পদে থেকে হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে চালাই মায়াঙ্কের মূল কাজ। সেক্ষেত্রে ছাত্র হিতের দিকটিও একটি বড় বিষয়। এছাড়াও এক্সিকিউটিভ বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষাবর্ষে একটি পরিকল্পনাকে রূপ দিতেও মায়াঙ্ককে উদ্যোগ নিতে হবে তাঁর পদাধিকার বলে। পড়ুয়াদের স্বার্থের কথা তুলে ধরতে হবে কাউন্সিলে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনও পড়ুয়ার কোনও রকমের অসুবিধার পরিস্থিতি সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল থাকতে হবে কলকাতার এই পুত্র মায়াঙ্ক দেব কুমারকে।