মুম্বইয়ে মোটা টাকার বেতনে ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন। যে চাকরির জন্য দেশের কোটি-কোটি মানুষ হাপিত্যেশ করে বসে থাকেন। কিন্তু ২০১৪ সালে সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজের স্বপ্নপূরণের সিদ্ধান্ত নেন কলকাতার মেয়ে রাজর্ষিতা শুর। কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ‘সোলো ট্রাভেলিং’ (একা-একা ঘোরা) শুরু করেন। সঙ্গে শেয়ার বাজারে স্টক ট্রেডিংয়ের কাজ শুরু করেন।
নেপালে এক সপ্তাহ কাটিয়ে ফেরার সময় রাজর্ষিতা বলেন, ‘(ব্যাঙ্কের) চাকরিটা দারুণ ছিল। কিন্তু আমাদের কাজের সময়ের ক্ষেত্রে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ চাইছিলাম, যাতে আমি ঘুরতে পারি। আয়ের উৎসের বিষয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে যেখানে চাই, সেখানেই থাকতে পারি।’ যে রাজর্ষিতা এবার আফ্রিকা মহাদেশের কেনিয়া এবং ইউরোপের আইসল্যান্ডে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
রাজর্ষিতা জানান, শেয়ার কেনাবেচার ক্ষেত্রে প্রতি মাসে তিন-চার শতাংশ মুনাফার চেষ্টা করেন। সেই 'টার্গেট' পূরণ হয়ে গেলেই 'স্টক ট্রেডিং' ছেড়েই 'প্রাপ্য' ভ্রমণে চলে যান। রাজর্ষিতা বলেন, 'আগামিকাল বলে যে কিছু নেই, সেটা ভেবেই আমি নিজের জীবনযাপন করছি।' সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ঘোরাফেরার বিষয়ে অত্যন্ত উৎসাহী এবং আমি খুশি যে এরকম পেশা বেছে নিয়েছি। যা আমায় স্বপ্নপূরণ করতে সাহায্য করবে।’
মোটামুটি প্রতি বছর ঘুরতে যাওয়ার জন্য কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা রেখে দেন। ইতিমধ্যে তাঁর পাসপোর্টে ব্রিটেন, তুরস্ক, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-সহ ইউরোপের অধিকাংশ দেশের স্ট্যাম্প পড়ে গিয়েছে। রাজর্ষিতা বলেন, ‘আমি ঘুরতে যাওয়ার দুটি কারণ আছে। একটা হল, বাজারের ধাক্কা সামলে নিজেকে চাঙ্গা করা এবং নিজে যা করেছি, তা উদযাপন করা।’ যে রাজর্ষিতার ইনস্টাগ্রাম বায়োতে লেখা আছে, 'চিরকাল ছুটিতে আছি।'