রামানুজন পুরস্কার পেলেন অধ্যাপক নীনা গুপ্ত। যিনি বরাহনগরের ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল ইনস্টিটিউটে (আইএসআই) কর্মরত। কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘অ্যাফাইন অ্যালজেব্রিক জিওমেট্রি' এবং 'কমিউটেটিভ অ্যালজেব্রা'-য় অসামান্য কাজের জন্য উন্নয়নশীল দেশ থেকে তরুণ গণিতজ্ঞ হিসেবে সেই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
আদতে গুজরাতে জন্মগ্রহণ করেন নীনা। দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত গুজরাতে পড়াশোনা করেছিলেন। তারপর কলকাতায় এসে ভরতি হয়েছিলেন ডানলপের একটি স্কুলে। বেথুন কলেজ থেকে শেষ করেছিলেন স্নাতকের পড়াশোনা। স্নাতকোত্তরের পড়াশোনার জন্য ভরতি হয়েছিলেন বরাহনগরের আইএসআইতে। সেখান থেকেই করেন পিএইচডি। আপাতত বরাহনগরের ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল ইনস্টিটিউটেই অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত তিনি। ছোটো থেকেই অঙ্কের প্রতি তাঁর এক অদ্ভুত টান ছিল।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তৃতীয় মহিলা হিসেবে রামানুজন পুরস্কার পেয়েছেন নীনা। তাঁর কাজের বিষয়ে পুরস্কার কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতার আইএসআইয়ের অধ্যাপকের কাজে দৃষ্টান্তমূলক বীজগাণিতিক দক্ষতা এবং উদ্ভাবনশীলতা ধরা পড়েছে। যিনি 'অ্যালজেব্রিক জিওমেট্রি'-র মৌলিক সমস্যা ‘জারিস্কি ক্যানসেলেশন প্রবলেম’ সমাধানের কারণে ২০১৪ সালে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যাকাডেমির তরুণ বিজ্ঞানী পুরস্কার পান। সেই সময় তাঁর কাজের বিষয়ে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যাকাডেমির তরফে বলা হয়েছিল, সম্প্রতি বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে 'অ্যালজেব্রিক জিওমেট্রি' নিয়ে অন্যতম সেরা কাজ করেছেন নীনা। যে সমস্যা ১৯৪৯ সালে তুলে ধরেছিলেন 'অ্যালজেব্রিক জিওমেট্রি'-র অন্যতম আবিষ্কর্তা অস্কার জারিস্কি।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর ৪৫ বছরের (সেই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) গণিতজ্ঞদের দেওয়া হয় রামানুজন পুরস্কার। ২০০৫ সাল থেকে সেই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে আবদুস সালাম ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিওরেটিকাল ফিজিক্স (আইসিটিপি), ইন্টারন্যাশনাল ম্যাথেমেটিকাল ইউনিয়ন (আইএমইউ) এবং ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক সেই পুরস্কার প্রদান করে।