সেঁজুতি সেনগুপ্ত
রাজস্থানের কোটাতে একের পর এক ছাত্রছাত্রীর আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সব থেকে বড় কথা যারা মারা যাচ্ছেন তাঁদের মধ্য়ে অনেকেই পুরুষ। তাঁরা মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। উত্তরভারতের একেবারে গ্রাম থেকে তাঁরা কোটাতে এসেছিলেন প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য।
এবার কোটার সেই আত্মহত্যার পরিসংখ্যানের দিকে একবার নজর দেওয়া যাক। ২৩জন পড়ুয়া যারা মারা গিয়েছেন তাদের মধ্য়ে অর্ধেকই হল ১৮ বছরের নীচে বয়স। ১২জন কোটাতে মাত্র মাস ছয়েক আগে এসেছিলেন। অনেকেই গরিব পরিবারের সন্তান। হিন্দুস্তান টাইমসের বিশ্লেষনে তেমনটাই উঠে এসেছে।
দেখা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ, বিহারের গ্রাম থেকে তারা কোটাতে আসতেন। আর সেখানেই নিজের জীবনকে শেষ করে ফেলেন তাঁরা। কিন্তু কেন?
গত প্রায় এক দশক ধরে কোটা কার্যত কোচিং ফ্যাক্টরি হয়ে উঠেছিল বিভিন্ন কোচিং ইনস্টিটিউট তাদের সফল পড়ুয়াদের ছবি টাঙিয়ে রাখত। এভাবেই তারা নতুন পড়ুয়াদের উৎসাহ দিত। তবে এতো গেল কোটার উজ্জ্বল দিকের ছবি। অপর একটি দিকও রয়েছে। সেখানে শুধুই হতাশার ছবি।সেখানে ব্যর্থতা আছে, ভেঙে পড়া আছে, যন্ত্রণায় ককিয়ে ওঠা আছে। আর আছে জীবন থেকে পালিয়ে যাওয়ার ছবি। অনেকের মতে, আসলে পরিবার থেকে দূরে প্রত্যাশার প্রবল চাপ সহ্য করতে পারে না ওই কিশোর, কিশোরীরা। একটা সময় চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে তারা।
প্রশাসন বলছে, বর্তমানে প্রায় ২২৫,০০০ জন পড়ুয়া নিট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কোটাতে। অনেকে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইঁদুর দৌড়েও নেমেছে। প্রায় ৪,০০ হস্টেল ও ৫০০০ পেয়িং গেস্ট পরিষেবার মধ্যে তারা আছে। পরিসংখ্যান বলছেন চলতি বছরে অন্তত ২৩জন কোটাতে পড়তে এসে আত্মহত্যা করেছিলেন। ২০১৫ সালের মধ্য়ে এই সংখ্য়াটা সবথেকে বেশি। প্রশাসন গোটা বিষয়টি নিয়ে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি( হায়ার অ্যান্ড টেকনিকাল এডুকেশন) তাঁকে ১৫ দিনের মধ্য়ে রিপোর্ট সাবমিট করার জন্য বলা হয়েছে।