করোনাভাইরাস হোক বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ - যে কোনও বিপদের সময় এগিয়ে এসেছেন। কোঝিকোড়ে বিমান দুর্ঘটনার সময়েও একইভাবে এগিয়ে এলেন কেরালাবাসী - কারোর আর্জি, কারোর ডাক ছাড়া। দিলের রক্ত, বন্দোবস্ত করলেন খাবারের।
সোমবার সন্ধ্যায় কোঝিকোড় বিমানবন্দরে নামার সময় রানওয়ে থেকে পিছলে যায় এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি বোয়িং ৭৩৭ বিমান। তা রানওয়ে ছাড়িয়ে ৩৫ ফুট গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দু'টুকরো হয়ে যায় বিমান। দ্রুত শুরু হয় উদ্ধারকাজ। এগিয়ে আসেন স্থানীয়রাও। বিমানে ১৮৪ জন যাত্রী-সহ মোট ১৯০ জন থাকায় হতাহতের সংখ্যা কত হবে, তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্ঘটনার পর বিমানে আগুন ধরে যায়নি। তার জেরে আরও বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। তা সত্ত্বেও কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১২৩ জনের মতো। কোঝিকোড়ের বিভিন্ন হাসপাতালে তাঁদের ভরতি করা হয়েছে।
সেই দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই কোঝিকোড়ের একাধিক ব্লাডব্যাঙ্কের বাইরে বড় লাইন দেখা যায়। আহতদের চিকিৎসার জন্য রক্তের প্রয়োজন হবে বলে আগেভাগেই তাঁরা রক্তদানের জন্য এগিয়ে আসেন। মধ্যরাত পেরিয়েই কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বাইরেও লম্বা লাইন দেখা যায়। শুধু তাই নয়, কোঝিকোড় বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়ায় একাধিক বিমান কান্নুর বিমানবন্দরে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। তার ফলে নির্ধারিত সময়ের থেকে দেরিতে কান্নুরে নামে একাধিক বিমান। যাত্রীদের জন্য খাবারের বন্দোবস্ত করেন কান্নুর জেলার মাট্টান্নুরের বাসিন্দারা। সেই ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর রীতিমতো প্রশংসিত হয়েছেন কেরালাবাসী।