করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চাকরি হারিয়েছেন। সেই কারণ দর্শিয়ে ‘বন্দে ভারত মিশন’-এর এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বিমানে করে দেশে ফিরছিলেন। কিন্তু ফিরতে পারলেন কেউ কেউ। কোঝিকোড় বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২০ জনের। অনেকেই আবার আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তেমনই একজন বছর ৩৯-এর আবদুল রফি। করোনা পরিস্থিতিতে খুইয়েছেন চাকরি। শেষ হয়ে গিয়েছিল ভিসার মেয়াদ। আগেই স্ত্রী এবং সন্তানদের ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছিল। খানিকটা একই অবস্থা ২৯ বছরের মহম্মদ সালিলের। চাকরি না গেলেও তাঁকে ছ'মাসের ছুটিতে পাঠানো হয়।
‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এর হাতে বিমানের যে যাত্রী তালিকা এসেছে, তাতে দুবাই থেকে ১৮৪ জন যাত্রী কোঝিকোড়ে আসছিলেন। ১০ শিশুও ছিল। এছাড়া দু'জন পাইলট এবং চারজন বিমানকর্মী। দুর্ঘটনায় দুই পাইলটেরই মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১২৩ জন। কোঝিকোড়ের সাতটি হাসপাতালে তাঁদের ভরতি করা হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
চাকরি হারিয়ে ফেরার পাশাপাশি ঘুরতে গিয়ে আটকে পড়া, ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার মতো কারণও জানিয়েছিলেন অনেকে। ২৮ বছরের মহম্মদ ফাজিল আবার বিয়ের জন্য দুবাই থেকে ফিরছিলেন। অনেকে আবার মহামারী পরিস্থিতিতে পরিবারের সঙ্গে থাকার কারণও জানিয়েছিলেন। বার্ষিক ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন আবদুল করিম। কিন্তু বাড়ি ফেরার সেই আনন্দ অবতরণের সময় বিভীষিকায় পরিণত হয়েছে তাঁর।