৩০ বছর ধরে বিমান চালাচ্ছেন। পেয়েছেন স্বর্ণপদক ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকডেমি। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেই অভিজ্ঞতার ঝুলিকে উজাড় করেই অনেকগুলি প্রাণ বাঁচালেন দুবাই থেকে কোঝিকোড় গামী এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের পাইলট দীপক বসন্ত সাঠে। তবে কোঝিকোড় বিমানবন্দরের দুর্ঘটনায় মারা গেলেন এই প্রাক্তন বায়ুসেনার অফিসার।
১৯৮০ সালে ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে আসেন বসন্ত। ব্যাচে প্রথম হওয়ার সুবাদে পান রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক। এরপর দীর্ঘদিন এয়ার ফোর্সে টেস্ট পাইলট হিসাবে কাজ করেন তিনি।
এরপর এয়ার ইন্ডিয়ায় চাকরি নেন উইং কম্যান্ডার। সেখানে এয়ারবেস ৩১০ চালাতেন তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে। এয়ার ফোর্স অ্যাকাডেমিতে তিনি সোর্ড অফ অনার পান। এয়ার ইন্ডিয়ার পর তিনি এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসে প্লেন চালিয়েছেন। বিশেষে মুন্সিয়ানা ছিল বোয়িং ৭৩৭ ওড়ানোতে।
কিন্তু শুক্রবার সব হিসাব ওলট পালট হয়ে গেল। খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে দুইবার ল্যান্ড করতে গিয়ে পারেননি বসন্ত সাঠে। এরপর ফের এই সরু টেবলটপ বিমানবন্দরে ল্যান্ড করতে গিয়ে বিপত্তি। পিছলে গিয়ে বিমান রানওয়ে ছেড়ে লাগোয়া পাহাড়ের ডগায় গিয়ে ধাক্কা খায়। মৃত্যু হয়েছে পাইলট ও কো পাইলট সহ কমপক্ষে ২০ জনের। এখনও আশঙ্কাজনক ১৫ জন।
বন্দে ভারত মিশনের আওতায় মোট ১৮৪ জন যাত্রী ও ৭জন বিমান কর্মীকে নিয়ে দুবাই থেকে কোঝিকোড় আসছিল এই বিমান। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।