বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার ছেলের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলে কর্ণাটকের রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করলেন জনতা দল (সেক্যুলার) নেতা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। সম্প্রতি কুমারস্বামী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রশ্ন করেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর ছেলেও বিদেশে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল। তিনি কোন অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন? তিনি কি সিদ্দারামাইয়ার অনুমতি নিয়েছিলেন?’
কুমারস্বামী আরও জানতে চান, ‘কেন সিদ্দারামাইয়া রাকেশের মৃত্যুর বিষয়ে তদন্তের আদেশ দেননি? কেন তা ঢেকে রাখা হয়েছিল? মুখ্যমন্ত্রী কি তাকে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন?’ তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাকেশের বিদেশ সফরের সময় তাঁর সঙ্গে কতজন ছিলেন তার বিস্তারিত জানাতেও বলেন।
অন্যদিকে, কুমারস্বামী অভিযোগ করেন যে, প্রজ্বল যৌন নির্যাতন মামলা তাদের পরিবারকে রাজনৈতিকভাবে ধ্বংস করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রজ্বল, যিনি জনতা দল (সেক্যুলার) এর প্রতিষ্ঠাতা এইচডি দেবেগৌড়ার নাতি এবং হাসান লোকসভা কেন্দ্র থেকে এনডিএ প্রার্থী। তাঁর বিরুদ্ধে কয়েকজন মহিলার উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগের ওঠে। প্রজ্বল হাসানে নির্বাচনে হওয়ার একদিন পর ২৭ এপ্রিল জার্মানির উদ্দেশে রওনা হন বলে জানা গেছে, এবং এখনও পলাতক রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ইন্টারপোল ইতিমধ্যেই একটি 'ব্লু কর্নার নোটিস' জারি করেছে, যা সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) এর মাধ্যমে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (এসআইটি) এর অনুরোধে করেছে। সিটের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্পেশাল কোর্ট ফর ইলেক্টেড রিপ্রেজেন্টেটিভস প্রজ্বালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
আরও পড়ুন। প্রচুর সুযোগ, তবু অগ্নিবীর নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন রাহুল গান্ধী: অমিত শাহ
কুমারস্বামী বলেন, যারা প্রজ্বালের সঙ্গে সম্পর্কিত ভিডিওগুলি ছড়িয়েছে এবং আক্রান্তদের মুখ না ঢেকে তা প্রকাশ করেছে, তারা অপরাধ করেছে। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘মাস্টারমাইন্ড’ কি এই ভিডিওগুলির ফাঁসের ফলাফল সম্পর্কে অবগত ছিলেন?
এই প্রসঙ্গে সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘রাকেশ আট বছর আগে মারা গেছেন। রাকেশের বিষয়টি তুলে ধরা বোকামি।’ তিনি কুমারস্বামীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রাকেশের মৃত্যুর ঘটনা তুলে ধরার অভিযোগ করেন। ‘রাকেশ সিদ্দারামাইয়া ২০১৬ সালে মারা গিয়েছিলেন। সেই ঘটনার সাথে প্রজ্বালের মামলার কী সম্পর্ক?’ সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘কুমারস্বামীর ভাইপো (প্রজ্বল) একজন ধর্ষক।’
কুমারস্বামী অভিযোগ করেন যে, ভিডিওগুলি অনলাইনে ছড়ানো এবং আপলোড করা অপরাধ। এই প্রসঙ্গে সিদ্দারামাইয়া প্রশ্ন করেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির কোন ধারা অনুযায়ী এটি অপরাধ? তিনি বলেন, ‘আমি বলছি না যে, আক্রান্তদের মুখ না ঢেকে ভিডিও শেয়ার করা অপরাধ নয়, তবে কুমারস্বামী বলেন, আমার ছেলের মৃত্যু প্রজ্বাল ধর্ষণ মামলার চেয়ে বড়। আমি জানতে চাই কোন আইপিসি বা কোন অপরাধ আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ’।