দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের মাঝেই উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভ মেলা। জানা গিয়েছে এই পরিস্থিতিতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কুম্ভ মেলায় যোগ দেওয়া ৩০ জন সাধু। অল ইন্ডিয়া আখাড়া পরিষদের নেতা মহন্ত নরেন্দ্র গিরিও সংক্রমিত হয়েছেন। তবে এত কিছুর মাঝেও করোনা বিধি মেনে পূণ্যস্নানে অংশ নিচ্ছেন না পূণ্যার্থীরা। যার জেরে চিন্তা বেড়েছে প্রশাসনেরও। এই আবহে এবার পঞ্চায়তী নিরঞ্জনী আখাড়া ১৭ এপ্রিলকেই কুম্ভ মেলায় তাঁদের যোগদানের শেষ শেষ দিন হিসেবে ঘোষণা করেছে।
উল্লেখ্য, কুম্ভ মেলায় যোগ দেওয়া ১৩টি আখাড়ার মধ্যে অন্যতম এই পঞ্চায়তী নিরঞ্জনী আখাড়া। কুম্ভের ১৩টিরও বেশি ধর্মীয় দলের দ্বিতীয় বৃহত্তম নিরঞ্জনী আখাড়া ঘোষণা করেছে, নির্ধারিত সময়ের দুই সপ্তাহ আগেই অর্থাৎ শনিবারেই তারা কুম্ভে অংশগ্রহণ বন্ধ করে দেবে। কুম্ভের সমাপ্তি ঘোষণা করে আখাড়ার সম্পাদক রবীন্দ্র পুরী মহারাজ বলেন, 'অতিমারীর আবহে হরিদ্বারের বর্তমান পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি যে আমর১৭ এপ্রিল কুম্ভ মেলায় যোগদান বন্ধ করে দেব।'
রবীন্দ্র পুরী মহারাজ আরও বলেন, '২৭ এপ্রিল যে শনি স্নান হওয়ার কথা রযেছে তা নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে আখাড়া পরিষদের সঙ্গে আলোচনার পর। আমাদের আখড়া থেকে কয়েকজন সাধু এই স্নানে যোগ দেবেন।'
তাঁর আরও বক্তব্য, 'হরিদ্বারের বর্তমান পরিস্থিতিতে এই উপচে পড়া ভিড় উপযুক্ত নয়। আমাদের অনেক স্টাফ ও সাধু অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কোভিডের পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হওয়ায় আমাদের জন্য কুম্ভ মেলা শেষ। প্রধান শাহী স্নান হয়ে গিয়েছে এবং আমাদের আখাড়ার অনেকের শরীরেই কোভিড উপসর্গ দেখা দিয়েছে।'
প্রসঙ্গত, এপ্রিল ১০ থেকে ১৫ পর্যন্ত, গত পাঁচ দিনেই কুম্ভে ২,১৬৭ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। কুম্ভের পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ দিন হল ২৭ এপ্রিল। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, রোজ প্রায় ৩০ লক্ষ করে মানুষের শাহী স্নানের সাক্ষী থাকছে হরিদ্বার। তবে বুধবার গত কয়েকদিনের মধ্যে সবচেয়ে কম মানুষ শাহী স্নান সেরেছেন। এই পরিস্থিতিতে নিরঞ্জনী আখাড়ার এই ঘোষণা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।