আজ ত্রিপুরায় দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা এবং জয়া দত্ত। এর প্রেক্ষিতেই এবার পালটা তোপ দাগলেন কুণাল ঘোষ। টুইটে দাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে তুলোধোনা করে এদিন কুণাল লেখেন, 'ত্রিপুরায় আমাদের সহকর্মীরা আক্রান্ত, রক্তাক্ত। গণতন্ত্রকে হত্যা করছে বিজেপি। তীব্র প্রতিবাদ জানাই। কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন আঙুল চুষবে?' এদিকে জানা গিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রবিবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন কুণাল ঘোষ এবং ব্রাত্য বসু।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ত্রিপুরাতে ছিলেন কুণাল ঘোষ। কারণ, সম্প্রতি ত্রিপুরায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল। তারই প্রতিবাদে কুণাল ঘোষ-সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা ত্রিপুরায় হাজির হয়েছিলেন। এবার ফের একবার রবিবার সেরাজ্যে যেতে চলেছেন কুণাল ঘোষ। এদিকে এর আগে কুণাল ঘোষ যখন ত্রিপুরায় ছিলেন, তখন নাকি তাঁদের বারবার অনুসরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিন সকালেই কুণাল ঘোষ দাবি করেন যে তাঁকে ত্রিপুরায় অনুসরণ করা হয়েছিল। টুইট করে এদিন একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন কুণাল ঘোষ। সঙ্গে ক্যাপশনে লেখেন, 'ত্রিপুরায় যতক্ষণ ছিলাম, যেখানেই যাই, একটু দূরত্ব রেখে অনুসরণ করে গেল বাইকবাহিনী। ওখানে গ্রামে তাণ্ডবের কথা শুনেছি। শহরেও নজরদারি। পিছনে থাকছে। ফোনে জানাচ্ছে কাউকে।' এদিকে গাড়ির ভিতর থেকে তোলা ভিডিয়োতেই দেখা যায়, একটি গাড়ির পিছনে ধাওয়া করছে দু’টি বাইক। এই ভিডিয়ো পোস্ট করে কুণাল ঘোষ বিজেপিকে ‘ধন্যবাদ’ জানিয়েছেন।
এর আগে ত্তর-পূর্ব ভারতের ওই রাজ্যে হাজির হয়ে যায় ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক। কিন্তু সংস্থার প্রতিনিধিদের আটকে দেওয়া হয় কোভিড প্রোটোকল অনুযায়ী। এর বিরুদ্ধে সরব হয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা হাজির হন ত্রিপুরায়। সেই কারণেই গিয়েছিলেন অভিষেক। তখনই তাঁর গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল।