প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সব ধরনের যোগ্যতা রয়েছে নীতীশ কুমারের। এহেন মন্তব্য করে আচমকাই বিহার সহ জাতীয় রাজনীতিতে একটি চোরাস্রোত বইয়ে দিলেন জেডিইউ নেতা উপেন্দ্র কুশওয়াহা। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি বিজেপির সঙ্গে জোট ভাঙার ইঙ্গিত দিয়ে বিরোধী জোটের সঙ্গে হাত মেলানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে জেডিইউ। সেই সম্ভাবনা অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন কুশওয়াহা। বরং তাঁর ইঙ্গিত, এনডিএ-রই উচিত নীতীশকে মুখ করা।
সাংবাদিকদের কুশওয়াহা বলেন, 'আমরা এনডিএতে রয়েছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মোদী, তিনি কাজ করে চলেছেন। তবে জোটে আরও অনেকেই রয়েছেন যাঁরা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য। নীতীশ কুমার তাঁদের মধ্যে একজন। প্রধানমনন্ত্রী হওয়ার সকল গুণ তাঁর মধ্যে রয়েছে।'
জেডিইউ জাতীয় কার্যনির্বাহী বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এই কথা বলেন কুশওয়াহা। সেই বৈঠকে লালন সিং ওরফে রাজীব রঞ্জন সিংকে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। উল্লেখ্য, এই মন্তব্য এমন এক সময়ে হল যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দিল্লিতে গিয়ে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন। ২০২৪ সালকে পাখির চোখ করে নিজেকে মোদী বিরোধী মুখ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন মমতা।
এদিকে এক সময়ে মোদী বিরোধী হিসেবে পরিচিত নীতীশ আরজেডি-কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন। মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই তিনি এনডিএ ছেড়েছিলেন। তবে পরে ফের বিজেপির সঙ্গে জোট করেন। ২০১৯ সালে মোদীকে পাশে দাঁড় করিয়েই নির্বাচনী সভা করে ফের মসনদে ফেরেন নীতীশ। তবে ২০১৯ সালে প্রথমবার জোটে 'সিনিয়র পার্টনার' হয় বিজেপি। তবে মুখ্যমন্ত্রিত্ব নীতীশকেই ছেড়ে দেয় গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে আচমকা বিহার বিজেপির তরফেও রাজ্যে 'কাজ না করতে' পারার অভিযোগ করেছে। এই আবহে উত্তরপ্রদেশে জেডিইউ নির্বাচন লড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। পাশাপাশি নীতীশকে প্রধানমন্ত্রী মুখ করার দাবি তুলে একটি জল্পনাও তৈরি করল বিহারের শাসক দল।