লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা কমাতে সম্প্রতি চুক্তি করেছিল ভারত ও চিনা সেনা। এই আবহে ডেমচক এবং ডেপস্যাঙ থেকে দুই দেশই তাদের সেনা প্রত্যাহার করেছে। এই আবহে সেই সব অঞ্চলে প্রথম দফায় টহল সম্পন্ন করেছে ভারত ও চিন। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ডেমচক এবং ডেপস্যাঙে যৌথ টহল দেয় ভরত ও চিনা সেনা। এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দুই দেশের সেনার চুক্তি অনুযায়ী, ভারত এবং চিন এক এক সপ্তাহে এই এলাকায় টহল দেবে। এভাবেই ধীরে ধীরে দুই দেশের মনে একে অপরের প্রতি আস্থা জন্মাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে নিয়মিত ভাবে দুই দেশের সেনাই একে অপরের সঙ্গে বৈঠকেও বসবে। (আরও পড়ুন: WB By-Election Live: বিজেপি এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ নৈহাটিতে)
আরও পড়ুন: Jharkhand Vote Live: ঝাড়খণ্ডের ভোটে ইস্যু 'বাংলাদেশ', JMM-BJP লড়াইয়ে এগিয়ে কে?
উল্লেখ্য, প্রায় সাড়ে ৪ বছর পর ফের লাদাখের ডেমচক এবং ডেপস্যাঙে পা পড়েছে ভারতীয় সেনার। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালের সংঘাতের আগে যে অবস্থান পর্যন্ত ভারতীয় সেনা টহল দিত, এখনও সেখান পর্যন্তই টহল দিতে শুরু করেছে তারা। এর আগে ডেপস্যাঙে টহল নিয়ে সেনার তরফ থেকে এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখা হয়েছিল, 'ভারত এবং চিনা পক্ষের তরফ থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছিল। এরই সঙ্গে ডেমচক এবং ডেপস্যাঙে টহল পুনরায় জারি নিয়েও ঐক্যমতে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছিল। এই আবহে আজ ডেপস্যাঙে একটি প্যাট্রলিং পয়েন্ট পর্যন্ত টহল দিয়েছে ভারতীয় সেনা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার ক্ষেত্রে আরও একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ এটি।'
উল্লেখ্য, লাদাখের ডেপস্যাং এবং ডেমচকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা প্রত্যাহার হয়েছে দিওয়ালির আগেই। ভারত ও চিন, দুই দেশের সেনাই যৌথ ভাবে সেখানে 'যাচাই পর্ব' চালিয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে যে সব অস্থায়ী তাঁবু খাটানো হয়েছিল, তা খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই আবহে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া দুই পক্ষের তরফ থেকই সঠিক ভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতেই 'ভেরিফিকেশন' চলেছিল। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছর ধরেই ডেপস্যাং এবং ডেমচকে ভারতীয় সেনাকে টহলে বাধা দিচ্ছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, ডেমচকে এর আগে চিন তাঁবু খাটিয়ে বসেছিল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ভারতীয় দিকে। আর ডেপস্যাঙের ওয়াই জংশনে স্থায়ী স্থাপত্য গড়েছিল চিনা সেনা। এই ওয়াই জংশন হয়েই প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১১, ১১এ, ১২ এবং ১৩-তে যেতে হয় ভারতীয় সেনাকে।