বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, বেজিং লিখিত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি মানে না। সেকারণেই সীমান্তে এত অশান্তি। এদিকে বিদেশমন্ত্রীর এই কথা শুনে কার্যত চাপে পড়ে চিন। তাদের তরফে জানানো হয়েছে,ভারত নাকি পূর্ব লাদাখে সীমান্ত সমস্যাকে টেনে আনছে। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন সোমবার জানিয়েছেন, ভারত-চিন সম্পর্কের উন্নতির ব্যাপারে চেষ্টা চলছে। আমাদের আশা ভারত এনিয়ে চুক্তি মেনে চলবে। দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কোনো মন্তব্য করবেন না। ওয়াং জানিয়েছেন, বেজিংয়ের অবস্থান হল উভয় দেশ যেন চুক্তি মেনে চলে।
ওয়াং জানিয়েছেন, সীমান্ত ইস্যুতে আমাদের আশা উভয় পক্ষই সামরিক ও কূটনৈতিক চ্য়ানেলের মাধ্যমে যাবতীয় ইস্যুগুলি মেটানোর চেষ্টা করবে। এদিকে জয়শঙ্কর আগেই জানিয়েছিলেন, ২০২০ সালে লিখিত চুক্তিকে অমান্য করেছিল চিন। তার জেরেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। যখন একটা বড় দেশ এভাবে চুক্তি অমান্য করে, আমার মনে হয় গোটা আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছে এটা উদ্বেগের বিষয়।
এদিকে ২০২০ সালের মে মাস থেকে চিন ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে নানা দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে নানা আলোচনা হয়েছে উভয় পক্ষের মধ্যে। কিন্তু বাস্তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি। তবে এবার উভয় পক্ষই এই পরিস্থিতির জন্য় একে অপরের উপর দোষারোপ করা শুরু করেছে। এনিয়ে নানা সাফাই দেওয়া শুরু করেছে চিন।