কেরালায় অ্যাম্বুল্যান্স চালকের যৌন লালসার শিকার হলেন বছর বাইশের কোভিড আক্রান্ত তরুণী। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ধরা পড়েছে দুষ্কৃতী।
শনিবার মধ্য কেরালার পাঠনমথিট্টা জেলায় একই বাড়ির দুই মহিলার কোভিড পরীক্ষার ফল পজিটিভ বেরোলে তাঁরা স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে খবর দেন। রাজ্য কোভিড নীতি অনুযায়ী, একমাত্র অ্যাম্বুল্যান্সেই হাসপাতালে পৌঁছতে পারেন রোগীরা। কিন্তু সেই অ্যাম্বুল্যান্স মহিলাদের কাছে পৌঁছতে মাঝরাত হয়ে যায়।
দুজনের মধ্যে এক মহিলাকে কাছাকাছি হাসপাতালে ভরতি করা হলেও চিকিৎসকদের পরামর্শে ওই তরুণীকে কিছু দূরের কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সাব্যস্ত হয়। অভিযোগ, সেই হাসপাতালে যাওয়ার পথে নির্জন স্থানে অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড় করিয়ে তরুণীর শ্লীলতাহানি করে চালক। সেই সঙ্গে নিগৃহীতাকে বিষয়টি গোপন রাখতে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
সেই হুমকির পরোয়া না করে হাসপাতালে পৌঁছে চিকিৎসকদের সবিস্তারে জানান নিগৃহীতা। পরে মেডিক্যাল পরীক্ষায় তাঁর শ্লীলতাহানির প্রমাণ পাওয়া যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ২৯ বছর বয়েসি অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। তা সত্ত্বেও কীভাবে তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছিল, সে সম্পর্কে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এ দিকে ঘটনার জেরে কেরালার স্বাস্থ্য মন্ত্রক কড়া নির্দেশ জারি করেছে যে, প্রতিটি অ্যাম্বুল্যান্সে কমপক্ষে দুই জন স্বাস্থ্যকর্মী উপস্থিত থাকতে হবে। তা ছাড়া, মহিলা রোগীদের ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রক। সেই সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাঠনমথিট্টা জেলার মেডিক্যাল অফিসার এল শীজা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যকর্মীর অভাবেই ওই রোগীকে শুধুমাত্র চালকের ভরসায় অ্যাম্বুল্যান্সে যাতায়াত করতে হয়েছিল। তা ছাড়া, দুই রোগীর মধ্যে একজনকে অন্য হাসপাতালে ভরতি করার আগাম আভাস ছিল না বলেও বিপত্তি ঘটেছে বলে তাঁর দাবি। দুই হাসপাতালে ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
অন্য দিকে, অ্যাম্বুল্যান্সে তরুণী রোগীর শ্লীলতাহানি কেন্দ্র করে কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে রাজ্য বিজেপি।