আপাতত ইডির হেফাজতে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। যাকে বীরভূমের বাঘ বলে উল্লেখ করেছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে এখন আর বাংলায় নয়, দিল্লিতে রয়েছেন কেষ্ট মণ্ডল। এদিকে সেই অনুব্রতকে জেরা করার জন্য যে টিম তৈরি হচ্ছে তাতে রয়েছেন আইপিএস সনিয়া নারাং। একেবারে দাবাং অফিসার বলেই পরিচিত এই মহিলা আধিকারিক। মেরুদন্ড টানটান সোজা। চাকরি জীবনে কখনও মাথা ঝোঁকাননি। সেই আইপিএস সনিয়ার মুখোমুখি হবেন বীরভূমের কেষ্ট মণ্ডল।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দুঁদে অপরাধীরাও এমন আধিকারিকের সামনে নাকানি চোবানি খান।সেক্ষেত্রে অনুব্রত মণ্ডল কতটা স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে পারবেন সেটাই প্রশ্নের। এবার দেখে নেওয়া যাক আইপিএস সনিয়া নারাংয়ের প্রোফাইলটা। সেটা দেখেই অনেকের হাতপা ঠান্ডা হয়ে যায়।
সূত্রের খবর, তিনি ২০০২ সালের আধিকারিক। পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানের স্নাতক। স্বর্ণপদকও রয়েছে ঝুলিতে। ২০০৬ সালে এক বিজেপি বিধায়ককে চড় মারার ঘটনায় তাঁর নাম সামনে এসেছিল। অত্যন্ত সাহসী আধিকারিক বলে পরিচিত তিনি। অপরাধ দেখলে কাউকে বিশেষ রেয়াত করেন না। তাঁর জেরার মুখেই এবার পড়তে হতে পারে কেষ্ট মণ্ডলকে।
সনিয়ার বাবাও ছিলেন আইপিএস। পড়াশোনাতে বরাবরের সেরা সনিয়া। এর সঙ্গেই মার্শাল আর্টেও দক্ষ।
তবে এর আগে অবশ্য পুলিশকে বোম মারার নিদান দিতেন অনুব্রত মণ্ডল। এমনকী বিরোধীদের নিশানা করে তিনি গুড় বাতাসা, চড়াম চড়াম ঢাক বাজানোর নিদান দিতেন। এমনকী সুঁটিয়ে লাল করে দেওয়ার কথা শোনা যেত অনুব্রতর মুখে। সেই কেষ্ট মণ্ডলকেই এবার জেরা করবেন ইডির বাছাই করা আধিকারিকরা। সেই অনুব্রতই এবার দিল্লিতে একেবারে কড়া আধিকারিকদের জেরার মুখে পড়তে চলেছেন বলে খবর।
সূত্রের খবর, কেষ্ট মণ্ডলকে জেরা করার জন্য় ৬ সদস্যের টিম তৈরি করা হয়েছে। সেখানে রয়েছেন স্পেশাল ডিরেক্টর বিবেক আর ওয়াদেকর, স্পেশাল ডিরেক্টর রাহুল নবীন, আইপিএস সনিয়া নারাং, স্পেশাল ডিরেক্টর মনিকা শর্মা সহ অন্যান্য দুঁদে আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, ইডির অন্যতম স্পেশাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সনিয়া নারাং। অত্যন্ত দক্ষ আধিকারিক হিসাবে পরিচিত তিনি। ক্য়ারাটেতে ব্ল্যাকবেল্ট। কর্নাটকেও তাঁর ভূমিকা অনেকের প্রশংসা কুড়িয়েছিল একটা সময়। সেই আইপিএস সনিয়া এবার প্রশ্নবাণ নিয়ে হাজির হবেন কেষ্ট মণ্ডলের সামনে। কতটা সামলাতে পারবেন বীরভূমের বাঘ তা নিয়ে জল্পনা একেবারে তুঙ্গে।