বিবাহিত হলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী যশোদাবেনের বহু বছর ধরেই কোনও সম্পর্ক নেই। এহেন মোদীকে পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ জানাতে তৈরি হচ্ছে বিরোধী জোট। জোটের মুখ কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা আছে। তবে এই দৌড়ে সবথেকে এগিয়ে রাহুল গান্ধী। আর কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে সম্প্রতি বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছিলেন আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। পটনার সভায় লালুর সেই 'পরামর্শ' নিয়ে বেশ হাসির রোল উঠেছিল। তবে কেন সেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন লালু? তা নিয়ে মুখ খুললেন আরজেডি প্রতিষ্ঠাতা। তিনি মন্তব্য করেন, 'স্ত্রী ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে থাকা অন্যায়। এটা উচিত নয়।' উল্লেখ্য, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিবাহিত হলেও সংসারধর্ম থেকে দূরেই থেকেছেন। তিনি থাকেনও একা। এই আবহে লালুর এই মন্তব্যে পরোক্ষ কটাক্ষ আছে বলেও মনে করছেন অনেকে।
এদিকে আগামী ১৭-১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হবে বিরোধী জোটের পরবর্তী বৈঠক। অসুস্থতা সত্ত্বেও সেই বৈঠকে যোগ দিতে যাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন লালু প্রসাদ যাদব। এই বিষয়ে লালু বলেন, 'কিছু শারীরিক পরীক্ষার জন্য আমি দিল্লি যাচ্ছি। সেসব হয়ে গেলে আমি পটনায় ফিরে আসব। এরপর বৈঠকের জন্য বেঙ্গালুরুতে যাব। মোদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে প্রস্তুতি নেব।' এদিকে সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের ঘটনাপ্রবাহ নিয়েও মুখ খুলেছেন লালু। তিনি অভিযোগ করেন, 'দুর্নীতিবাজদের আহ্বায়ক হলেন মোদী। এই একই মানুষকে না কদিন আগেই তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত বলে আখ্যা দিয়েছিলেন? আর এখন সেই কি না মন্ত্রী।' এদিকে লালু দাবি করেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে অন্তত ৩০০টি আসন পাবেন বিরোধীরা।
এর আগে পটনায় যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে লালুর গলায় রাহুল গান্ধীর প্রশংসা শোনা যায়। তিনি বলেছিলেন, 'রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রায় খুব ভালো কাজ করেছেন এবং আদানি গ্রুপের বিতর্ক ইস্যু নিয়েও লোকসভায় ভালো কথা বলেছেন। আপনি আমাদের পরামর্শ শোনেননি এবং বিয়ে করেননি। বিয়ে করা উচিত ছিল। এখনও সময় রয়েছে। বিয়ে করে নিন। আপনার মা সোনিয়া গান্ধী আমায় বলেছেন আমি বললে যদি আপনি বিয়ে করেন। আমরা বিয়েতে বরযাত্রী হয়ে যাব।' তাঁর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন করা হলে গতকাল লালু বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী যেই হন না কেন, তিনি যেন সস্ত্রীক হন। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে তাঁর স্ত্রী ছাড়া থাকা উচিত নয়।' হালকা চালে হাসি ঠাট্টার মাঝেই লালু যে রাজনৈতিক ভাবে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, তা নজরে পড়েছে রাজনৈতিক মহলের।