ফের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চলেছেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা লালুপ্রসাদ যাদব। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পশু খাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দীর্ঘ ৪ বছর যাবৎ জেলে ছিলেন তিনি। বেশ কয়েকদিন হাসপাতালেও থাকতে হয় তাঁকে। শেষপর্যন্ত সুস্থ হয়ে ওঠার পর দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন লালুপ্রসাদ যাদব। আগামী ৯ মে সেই বৈঠক হওয়ার কথা। সেই বৈঠকে বিহারে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে যেমন আলোচনা হবে, সেই সঙ্গে উঠে আসবে সাম্প্রতিককালে ঘটে যাওয়া রাজনীতির প্রসঙ্গ।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যেখানে তেজস্বী যাদব নিজেকে দলের মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন, সেখানে লালুর ভূমিকা এখন কী হয়, এখন সেটাই দেখার।
বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের ঘনিষ্ট সঞ্জয় যাদব বলেন, ‘আরজেডি সুপ্রিমো দলের বিধায়কদের সঙ্গে বিহারে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলবেন। বিধায়করা করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মানুষের পাশে কীভাবে দাঁড়িয়েছে, সে বিষয়েও কথা হয়েছে। এছাড়াও রাজনৈতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’ তিনি যে আস্তে আস্তে রাজনীতির আঙিনায় ফিরছেন, সেই ইঙ্গিত বেশ কিছুদিন আগে থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল।
কয়েকদিন আগে থেকেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে টুইটে আক্রমণ করেন লালুপ্রসাদ যাদব। টুইটে লালু নীতীশকে আক্রমণ করে বলেন,‘বিহারে শুধু বেড, ভ্যাকসিন, ইনজেকশনের অভাব রয়েছে তাই নয়, সামান্য জ্বরের জন্য ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ আমাদের মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে কিছু বলছেনও না।’ লালু দলের বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করবেন, এই কথা শোনার পর থেকেই আরজেডি কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গিয়েছে। দলের এক প্রথমসারির নেতা শ্যাম রজক জানান, ‘ওঁনার সঙ্গে দেখা করার জন্য উদগ্বী হয়ে আছি। উনি যা নির্দেশ দেবেন, সেটাই পালন করতে হবে।’
লালুর এই প্রত্যাবর্তনের পর আরজেডির মধ্যে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কোনও পরিবরর্তন হয় কিনা, এখন সেটাই দেখার।কীভাবে দলের মধ্যে ভারসাম্যের রাজনীতি বজায় থাকবে, সেদিকেই চোখ থাকবে অনেকের।