অসমে ‘জমি জেহাদ’ রুখতে আরও কঠোর হচ্ছে সরকার। এবার রাজ্যে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে জমি কেনা বেচা আর সহজ হবে না। এর জন্য সরকারের কাছ থেকে আগে অনুমোদন নিতে হবে। শীঘ্রই এ বিষয়ে আইন আনা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। একইসঙ্গে যোগীরাজ্য উত্তর প্রদেশকে অনুসরণ করে ‘লাভ জেহাদ’ বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ করতে অসম সরকার। সেক্ষেত্রে এই অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত সাজা হতে পারে বলে জানিয়েছেন হিমন্ত শর্মা। রবিবার গুহাটিতে বিজেপির রাজ্য কার্যনির্বাহী সভায় যোগ দিয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এ নিয়ে দুটি আইন আনার কথা ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: অসমে মুসলিমদের সংখ্য়া ৪০ শতাংশ, এটা মরণ-বাঁচন ব্যাপার, বিস্ফোরক হিমন্ত
এদিন হিমন্ত বলেন, ‘অসম সরকার জমি জেহাদ এবং লাভ জেহাদ বন্ধ করতে দুটি আইন আনছে। যদি কোনও মুসলিম কোনও হিন্দুর জমি কিনতে চায় বা কোনও হিন্দু কোনও মুসলিমের জমি কিনতে চায়, তাহলে তাদের আগে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এছাড়াও লাভ জেহাদের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে।’এর পাশাপাশি সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও নতুন নীতি আনতে চলেছে অসম সরকার। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, শীঘ্রই নতুন একটি নীতি চালু করা হবে, যার অধীনে শুধুমাত্র অসমে জন্মগ্রহণকারীরা রাজ্য সরকারি চাকরির জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
এবিষয়ে অসম বিজেপির প্রধান ভবেশ কলিতা বলেন, ‘রাজ্যের আদিবাসীদের সুরক্ষার জন্য জমি জেহাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জাতি, মাটি এবং ভিটে রক্ষা করার জন্য, আমরা জমি জেহাদের বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই অনুযায়ী, আমরা একটি প্রস্তাব পেশ করেছি। মুখ্যমন্ত্রী সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। এছাড়াও তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির সরকারি চাকরিতে আদিবাসীদের আরও সুযোগ দেওয়ার জন্য নতুন নীতি আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা লাভ জেহাদ নিয়েও আলোচনা করেছি। আগামী দিনে লাভ জেহাদ নিয়েও একটি আইন করা হবে।’
উল্লেখ্য, বিজেপি অসম এবং ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে বিদেশিদের প্রবলভাবে অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে । গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন যে ব্যাপক অনুপ্রবেশের ফলে ঝাড়খণ্ডে উপজাতি জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে।
ঝাড়খণ্ডে সরকার গঠনের পর বিজেপি উপজাতীদের জমি, সংরক্ষণ এবং অধিকার রক্ষার জন্য একটি শ্বেতপত্র ঘোষণা করবে।ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের নাম না করে তাঁকে নিশানা করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ভোট ব্যাঙ্ক এবং তোষণের নীতির হাজার হাজার অনুপ্রবেশকারী ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করছে। এরফলে স্থানীয়রা কর্মসংস্থানের সুযোগ হারাচ্ছেন।