জমি দাও চাকরি নাও! বড় কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস বিহারে।
দুর্নীতির মামলায় এবার লালু প্রসাদ যাদব ও তাঁর পরিবারের ৬ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিহারে জমির বিনিময়ে চাকরির কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত লালু প্রসাদের পরিবারের একাধিকজন। তা নিয়েই তদন্ত চলছে। এবার সেই তদন্ত প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব ও তার পরিবারের প্রায় ছয় কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হল। সূত্রের খবর লালু প্রসাদ যাদব তার স্ত্রীর রাবড়ি দেবী, তাদের একাধিক সন্তান, বিহারের ডেপুটি চিফ মিনিস্টার তেজস্বী যাদব সহ একাধিকজন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রাডারে রয়েছেন।
একাধিকজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সূত্রের খবর ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি এই বিশাল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে সব মিলিয়ে ছটি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই সম্পত্তি গুলি নিউ দিল্লি গাজিয়াবাদ পাটনাতে অবস্থিত। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট ২০০২ অনুসারে এই সম্পত্তিগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
কী অভিযোগ লালু প্রসাদ যাদব ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে?
সূত্রের খবর ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত লালু প্রসাদ যাদব কেন্দ্রের রেলমন্ত্রী ছিলেন। সেই সময় তিনি চাকরি দেওয়ার বিনিময় সস্তায় জমি করায়ত্ত করতে শুরু করেন। অভিযোগ এমনটাই। আর সেই অভিযোগের তদন্ত নেমে এবার লালু প্রসাদ যাদব ও তাঁর পরিবারের বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, তদন্তে নেমে এটা বোঝা গিয়েছে কর্মপ্রার্থীরা একের পর এক জমি সস্তায় অথবা বাজার থেকে কম দামে লালু প্রসাদ যাদবের পরিবারের হাতে উপহার বা বিক্রি করে দিতেন। মূলত চাকরির বিনিময়ে এই বিপুল জমি, এই বিপুল সম্পত্তি লালুর পরিবারে হাতে তুলে দেওয়া হত বলে খবর। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে দাবি করেছে তদন্তকারী সংস্থা।
এর আগেও তদন্তে নেমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছিলেন তদন্তকারীরা।সেই সময় প্রায় হিসাববহির্ভূত এক কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। দিল্লি এনসিআর, পাটনা মুম্বাই সহ বিভিন্ন জায়গাতে অভিযান চালানো হয়েছিল। সেই সময় দেড় কেজি সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল বলে খবর।