জমির বদলে রেলের চাকরি মামলায় গতকালই বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। সেখানে তাঁরা রাবড়ি দেবীকে জেরা করেন বলে জানা গিয়েছে। সেই ঘটনার একদিন পর, আজ সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের একটি দল নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সাংসদ মিসা ভারতীর বাসভবনে পৌঁছে যান। সেখানে মিসা এবং তাঁর বাবা তথা দলের প্রধান লালু প্রসাদ যাদবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে গতবছর মে ও অগস্ট মাসে লালু-পুত্র তথা বিহারের বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের মালিকানাধীন গুরুগ্রামের একটি নির্মাণাধীন মল সহ দিল্লি, গুরুগ্রাম, পটনা, কাটিহার এবং মধুবনির সহ মোট ২৫টি স্থানে অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। (আরও পড়ুন: 'বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ', মনুস্মৃতি পুড়িয়ে তা থেকে সিগারেট ধরালেন আরজেডি নেত্রী, দেখুন ভাইরাল ভিডিয়ো)
অভিযোগ, লালু প্রসাদ যাদব যখন ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন জমির বিনিময়ে গ্রুপ-ডি পদের ‘সাবস্টিটিউট’ হিসাবে বেশ কয়েকজনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। পরে তাঁদের চাকরি স্থায়ী করা হয়। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি সিবিআই-এর তরফে নয়া মামলা করা হয়েছে লালু, রাবড়ি দেবী, লালুর দুই কন্যা এবং আরও ১২ জনের নামে। গত বছরের ১৮ মে এই বিষয়ে একটি এফআইআর করা হয়েছিল। এরপর গত ২২ অক্টোবর এই দুর্নীতি মামলায় লালুপ্রসাদ যাদব ও রাবড়ি দেবীর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। লালু ও রাবড়ি ছাড়াও ১২ জনের নাম ছিল চার্জশিটে।
এই আবহে আজ মিসা ভারতীর বাসভবনে গিয়ে লালু যাদবকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এর আগে গতকাল পটনায় তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবীকে জেরা করেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেই সময়ের মায়ের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিহারের উপমুখ্যন্ত্রী তেজস্বী যাদব এবং রাজ্যের বন ও পরিবেশ মন্ত্রী তেজ প্রতাপ যাদব। উল্লেখ্য, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব, স্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং আরও ১৪ জনকে নোটিস পাঠিয়েছিল দিল্লি হাই কোর্ট। বিশেষ বিচারপতি গীতাঞ্জলি গোয়েল নির্দেশ দিয়েছিলেন যে দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সকলকে আগামী ১৫ মার্চ আদালতে হাজিরা দিতে হবে। এর আগেই সিবিআই আধিকারিকরা জেরা করতে রাবড়ি দেবী ও মিসা ভারতীর বাড়িতে পৌঁছে গেলেন পরপর দু'দিন। সিবিআই-র অভিযোগ, লালুপ্রসাদ যাদব, রাবড়ি দেবী এবং তাঁদের কন্যা মিসা যাদব ভারতী এবং হেমা যাদব এই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। এই আবহে দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতেই বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে জেরা করছে সিবিআই। যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যাদব পরিবার।