সাধারণ ভূমি ধসের ঘটনা পার্বত্য এলাকাতে হবে বলেই মনে করা হয়। হিমালয়ের রাজ্যগুলিতে প্রতিবছরই প্রচুর ধস নামে। তবে ধসের নিরিখে রাজ্যগুলির তালিকায় কোনও উত্তর বা পূর্ব ভারতের রাজ্য নয়, বরং দক্ষিণ ভারতের কেরল! সংসদে আজ এমনই তথ্য প্রকাশ করল কেন্দ্র। গত ৭ বছরে দেশের ৩৭৮২টি বড় ভূমিধসের মধ্যে ২২৩৯টি ভূমিধস হয়েছে কেরলে। যা সর্বোচ্চ সংখ্যক ভূমিধসের রেকর্ড। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে ২০১৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ৩৭৬টি ভূমিধস হয়েছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হওয়া ভূমিধসের দিকে সরকার নজর দিচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল সংসদে। এর জবাবে কেন্দ্রীয় ভূমি বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং আজ লোকসভায় জানান, সাম্প্রতিক অতীতে দেশে ক্রমবর্ধমান ভূমিধসের কারণগুলির দিকে সরকার মনোযোগ দিচ্ছে। মন্ত্রী জানান, খনি মন্ত্রকের এবং জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই সময়ের মধ্যে দেশে ৩৭৮২টি বড় ভূমিধসের তথ্য সংগ্রহ করেছে সরকার। এই সমস্ত ভূমিধসের জন্য প্রাথমিক জিও-প্যারামেট্রিক বৈশিষ্ট্য সংগ্রহ করেছে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। এর মাধ্যমেই ভূমিধসের প্রভাব, ভবিষ্যত প্রবণতা ইত্যাদি জানা যাবে।
মন্ত্রী সংসদে আরও জানান, এছাড়াও জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ২০১৪-১৫ সাল থেকে একটি জাতীয় ভূমিধস সংবেদনশীলতা ম্যাপিং (NLSM) করেছে এবং ১:৫০,০০০ স্কেলের ম্যাপিং তৈরি করেছে ৪.৩ লক্ষ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে। ভূমিধস প্রবণ বিভিন্ন রাজ্যে এই কাজ হয়েছে। এছাড়াও ২৯,৭৩৮টি ভূমিধসের জন্য রিমোট সেন্সিং (RS) এবং ফিল্ড ভিত্তিক উৎস ডেটা ব্যবহার করে ৮৬৪৫টি ভূমিধস বহুভুজের ঐতিহাসিক তথ্য সংগ্রহ করেছে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। মন্ত্রী জানান, ভূমিধসের বিপর্যয় পরবর্তী তদন্তে দেখা যায় যে ভূমিধসের প্রধান কারণ হল ভারী বৃষ্টিপাত। এদিকে অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে ১৯৮৯ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে, ৩০ বছরের এই সময়কালে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য ভাবে কম হয়েছে।