বিষে বিষ ক্ষয়। তেমনই বাঁদর তাড়াতে হনুমান। না, হেঁয়ালি নয়। এমনটাই নীতি নিয়েছে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রো স্টেশনে বাঁদরের বাঁদরামি কমাতে লাগানো হচ্ছে হনুমানের কাটআউট।
লখনউয়ের বেশ কিছু স্থানে বাঁদরদের সংখ্যা বৃদ্ধি রীতিমতো চিন্তার কারণ। বিশেষত স্টেশন এলাকায় দিন দিন বেড়েই চলেছে বাঁদরের উত্পাত। যাত্রীদের ব্যাগ, খাবার, চুল ধরে টানাটানি করছে বাঁদররা। এর মোকাবিলা করতে অভিনব পন্থা বেছে নিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রো স্টেশনগুলিতে হনুমানের কাটআউট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শহরের ৯টি মেট্রো স্টেশনে হনুমানের কাটআউট বসানোর কাজ চলছে।
মেট্রো রেলের এক আধিকারিক জানান, 'এর আগে প্ল্যাটফর্মের মাইকে রাগী হনুমানের ডাক বাজানো হচ্ছিল। কিন্তু সেটাকে পাত্তা দেয়নি বাঁদররা। তাই স্ট্র্যাটেজি পাল্টানো হল।' এএনআই ইউপি-র অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে এ বিষয়ে টুইট করা হয়েছে। বাদশানগর মেট্রো স্টেশনের ছবিও শেয়ার করে এএনআই।
তবে উত্তরপ্রদেশেই প্রথম নয়। চলতি বছরের মে মাসে দিল্লির ছাতারপুরের একটি চিকিত্সা কেন্দ্রে এমনই হনুমানের কাটআউট বসানো হয়েছিল। সর্দার প্যাটেল কোভিড কেয়ার সেন্টারে (SPCCC) কর্মী, রোগীদের জ্বালাতন করছিল বাঁদররা। তবে কাটআউট বসানোর পরেই কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে অবস্থা।
এ বিষয়ে এক বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ বলেন, 'হনুমানে ভয় পায় বাঁদর। তাই এটা কাজ করবে। কিন্তু বাঁদরা যথেষ্ট বুদ্ধিমান। অল্প সময়েই মানুষের চালাকি ধরে ফেলবে তারা। এটা সাময়িক সুরাহা।'
তাহলে দীর্ঘকালীন সুরাহা কী?
'নির্বীজকরণ এবং উচ্ছিষ্ট খাবার কমানোই একমাত্র উপায়। তাতেই জোর দিতে হবে প্রশাসনকে,' জানালেন তিনি।