আবার সক্রিয় হচ্ছে জঙ্গিরা। জম্মু–কাশ্মীরে বড় কোনও নাশকতা করার পরিকল্পনা করেছে জঙ্গিরা। আর তাই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে লস্কর–ই–তৈবা এবং জৈশ–ই–মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা আজ, বুধবার জমায়েত হয়েছে। এখানে হামাসের এক শীর্ষ জঙ্গি নেতা জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়েছে। আর তা যে কাশ্মীরকে অশান্ত করতেই সেটা খবর পেয়েছেন ভারতের ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির গোয়েন্দারা। কাশ্মীর সংহতি দিবসকে টার্গেট করে নাশকতা এবং হামলা নামিয়ে আনতে পারে জঙ্গিরা বলে সতর্ক করা হয়েছে সেনাবাহিনীকে।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় হয়ে গিয়েছে সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের মধ্যে। দ্রুত কড়া নজরদারি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীকে। আর যে খবর হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের তা হল, এই যে জমায়েত হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সেটার আয়োজক ছিল আল আকসা ফ্লাডস। এই যে সংগঠন সেটি আসলে জেরুজালেম মসজিদের সঙ্গে জড়িত। সেখানের খৃষ্টানদের এবং মুসলিমদের এই সংগঠন নিয়ন্ত্রণ করে বলে দাবি করা হচ্ছে। সমস্তরকম অশান্তির আগুন জ্বালাতে এই সংগঠন কাজ করে থাকে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হামাসের মুখপাত্র খালিদ কাদ্দৌমি জেহাদি প্রচার করেছে। প্যালেস্তাইন যেভাবে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে সেসব তুলে ধরা হয়েছে বক্তব্যে।
আরও পড়ুন: অ্যাডমিট কার্ড দেখালেই বাস ভাড়া মুকুব, মাধ্যমিক–উচ্চমাধ্যমিকে পাশে অ্যাসোসিয়েশন
গোয়েন্দাদের সূত্রে খবর, রাওলাকোটের সাবির স্টেডিয়ামে যে জমায়েত হয়েছে তাতে কেমন প্রভাব পড়ল তা খোঁজা হবে। গাজায় যেমন নাশকতা, অশান্তি এবং হামলা নামিয়ে আনা হয়েছিল কাশ্মীরেও তেমন করতে চায় জঙ্গিরা। এই জমায়েত বহু জঙ্গিরা উপস্থিত ছিল বলে তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। মাসুদ আজহারের ভাই তালহা সইফ, আসগর খান এবং ইলিয়াস মাসুদ এই জমায়েতে এসেছিল বলে তথ্য মিলেছে। সুতরাং নাশকতা এবং হামলার যে একটা বাতাবরণ তৈরি হয়েছে সেটা এই জমায়েত থেকে বোঝা যাচ্ছে। সেই নাশকতা এবং হামলা ভারতে করার ছক কষা হয়েছে। এমনই তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
এছাড়া গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জম্মু–কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। সেখানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং কাউন্টার টেরারিজম নিয়ে তথ্য জানতে চান। সেখানে সশস্ত্র বাহিনী শীর্ষ অফিসাররা এবং জম্মু–কাশ্মীরের পুলিশ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকে ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ককে আরও মজবুত করার নির্দেশ দেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কাশ্মীর সীমান্তে নানা উন্নয়ন মূলক কাজ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু আজকের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেনাবাহিনীকে। পুলিশকে প্রতিনিয়ত নাকা–চেকিং চালিয়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।