রবি কৃষ্ণন খাজুরিয়া
বিপুল অস্ত্র সহ দুই লস্কর জঙ্গি ঘাঁটি গেড়েছিল কাশ্মীরে। গ্রামবাসীরাই সেই জঙ্গিদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এই আবহে অভিযোগ উঠেছে, ধৃত জঙ্গিদের একজন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার আইটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ছিল। যদিও জম্মু ও কাশ্মীর বিজেপির তরফে এই অভিযোগ খারিজ করা হয়েছে। পাশাপাশি দলের তরফে জানানো হয়েছে, বিজেপির সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগ স্থাপনের এই চেষ্টা খুবই উদ্বেগজনক।
সম্প্রতি স্থানীয় এলাকায় আইইডি বিস্ফোরণ হয়েছিল। তাতে হাত ছিল লস্কর কমান্ডার তালিব হুসেনের। তাকে গ্রামবাসীরা প্রথমে আটক করেছিল। পরে টুস্কান গ্রাম থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। অভিযোগ ওঠে, এই তালিবই নাকি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। যদিও এই অভিযোগ খারিজ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপি সভাপতি রবিন্দর রায়না বলেন, ‘তালিব হুসেন না বিজেপির কোনও সক্রিয় কর্মী ছিল না সে দলের প্রাথমিক সদস্য।’
রায়না বলেন, ‘তালিব হুসেন শাহ তার ক্যামেরাম্যান সহ সাংবাদিক হিসেবে জম্মুতে বিজেপির সদর দফতরে বহুবার গিয়েছিল। অতীতে সে আমার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তার সঙ্গে দু-একজন থাকত। বিজেপির অফিসিয়াল রেকর্ডে তার কোনও সদস্যপদের তথ্য নেই। এ ছাড়া তাকে আটক করেছে এলাকাবাসী ও পুলিশ। যদিও পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে সে বিজেপি অফিসের এবং আমার রেকি করে গিয়েছিল। তার মোবাইল থেকে কিছু ছবি উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো খতিয়ে দেখছে। মনে হচ্ছে সে বিজেপি অফিসে বড়সড় সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করেছিল।’
রায়না আরও বলেন, ‘তালিব আইটি সেল ইনচার্জ ছিল না। বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা রয়েছে এবং তাকে রাজৌরি জেলায় সেই মোর্চার সদস্য করা হয়েছিল। তবে ১৮ দিনের মধ্যে সে দল ছাড়ে। ২৭ মে পদত্যাগ করে তালিব। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে যোগদান করেছিল তালিব এবং চতুর্থ সপ্তাহে পদত্যাগ করে সে। সে নিজেই দল ছাড়ার কথা গণমাধ্যমে ঘোষণা করেছিল। এই গোটা বিষয়টি বিজেপির দফতরে হামলা চালানোর ছক।’