৩১বছর জেলবন্দি থআকার পর প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যাকারী পেরারিভালন এই মামলায় মুক্তি পেল। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সে মুক্তি পায়। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে পেরারিভালনের মুক্তির জন্য আবেদন করেছিল তামিলনাড়ু সরকার। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই এদিন এই রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
বর্তমানে পেরারিভালন মুক্ত রয়েছে জামিনে। তবে সে চেয়েছিল তার স্থায়ী মুক্তি হোক রাজীব গান্ধী হত্যামলায়। এর আগে ৯ মার্চ শীর্ষ আদালত পেরারিভালানকে জামিনে মুক্তি দেয়। সেক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয়, শেষ ৩০ বছরে পেরারিভালানের জেলবন্দি থাকাকালে কোনও অপরাধমূলক ঘটনা সে ঘটায়নি। অন্যদিকে, পেরোলে যখনই সে দেলের বাইরে বেরিয়েছে তখনও কোনও অপরাধমূলক ঘটনা ঘটায়নি। এই সমস্ত প্রসঙ্গেই সুপ্রিম কোর্টের কাছে লেখা আবেদন পত্রেই মুক্তির দাবি করেছিল পেরারিভালান। এদিকে ২০০৮ সালে তামিলনাড়ু সরকার তার মুক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তারপর শুরু হয় আইনি পদক্ষেপ। বিষয়টিকে বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়। এরপর এই হাইভোল্টেজ মামলার শুনানির পর ১০ মে রায় স্থগিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায় আজ প্রকাশ্যে এল।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবনের সাজা হয়েছিল পেরারিভালনের। তারপর থেকেই জেলবন্দি সে। এদিকে ২০১৮ সালে তামিলনাড়ুর তখতে ছিল এআইডিএমকে। সেই সময় এআইডিএমকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত বন্দিদের সময়ের আগে মুক্তি দেওয়ার। সেই নিরিখে পেরারিভালনের মামলা এগিয়ে যায়। এইদিকে এই মামলায় কেন্দ্রের পরামর্শ ছিল যাতে সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত নেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে। তবে সেই পরামর্শ কার্যত প্রত্যাখ্যান করে এদিন রায় দিয়েছে আদালত।
(বিস্তারিত আসছে)