অন্য একটি মামলায় যুক্ত একজন আইনজীবীকে চাপ দিয়ে কুলভূষণ যাদব নিয়ে ভারতের অবস্থানের ভুল ব্যাখ্যা করছে পাকিস্তান বলে এদিন দাবি করল বিদেশমন্ত্রক।
ভারতীয় নাগরিক মহম্মদ ইসমাইল বর্তমানে পাকিস্তান জেলে আছেন। তাঁর জেলের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরেও ছাড়া পাননি। তাঁর জন্য পাক আইনজীবী শাহনাওয়াজ নুনকে নিয়োগ করে ভারত। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন আইনজীবী নাকি বলেন যে ভারতের হাইকমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার এসে যাদব নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেন।
বিদেশমন্ত্রকের দাবি এই আইনজীবীকে এরকম কিছুই বলা হয়নি। পাক প্রশাসনের চাপে পড়েই আইনজীবী এরকম কথা বলেন বলে ভারতের বক্তব্য। মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন যে আইনজীবী অসত্য কথা বলছেন ও এক্তিয়ার বহির্ভুত কথা বলেছেন শুনানি চলাকালীন।
শ্রীবাস্তব বলেন যে শুনানির সময় আচমকাই কুলভূষণের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল যদিও দুটি মামলার কোনও সম্পর্ক নেই। তখন আইনজীবী ভারতের অবস্থানের ভুল ব্যাখ্যা করেন বলে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।
বর্তমানে কুলভূষণের মামলাটি চলছে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে। ভারত দাবি করেছে যে একনয় ভারতীয় আইনজীবী বা এমন কেউ যে ব্রিটেনে প্র্যাকটিস করে, তেমন কাউকে দিতে হবে প্রাক্তন নৌসেনার অফিসারের জন্য। তবে এই দাবি মানতে নারাজ ভারত।
২০১৬ সালে যাদবকে চরবৃত্তির অভিযোগে বালুচিস্তান থেকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান। এরপর একটি সামরিক আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ভারত অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে ও বলে যে ইরানের চাবাহার বন্দরে ব্যবসা করত কুলভূষণ। সেখান থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক আদালত কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ড রদ করে দেয়।