পাকিস্তান রবিবার অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশনের একটি বৈঠক ডেকেছিল। মুসলিম দেশগুলির এই সংগঠনে মোট ৫৭টি দেশ আছে। সব মুসলিম দেশের নেতাদেরই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে ১৯ ডিসেম্বরের সেই বৈঠকে মাত্র ২০টি দেশের নেতারা অংশ নেন। তাছাড়া আরও কয়েকটি দেশ তাদের রাষ্ট্রদূত পাঠিয়েছে। এর জেরে পাকিস্তানেই ইমরান খানের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
১৯ ডিসেম্বর ভারত আফগানিস্তান নিয়ে মধ্য এশিয়ার ৫টি দেশের বৈঠক ডেকেছিল। বৈঠকে উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, কাজাখস্তান, তুর্কিমেনিস্তান ও কিরগিজস্তানের বিদেশমন্ত্রীরা অংশ নেন। এই পাঁচটি ইসলামিক দেশের সবকটিই আফগানিস্তানের সাথে সীমানা ভাগ করে। বর্তমানে অশান্ত দেশটিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
রবিবার ইসলামাবাদ ও দিল্লিতে পৃথক বৈঠক হলেও, ভারতের এই কৌশল পাকিস্তানকে ধাক্কা দিয়েছে বলে মনে করছেন বিদেশ নীতি বিশেষজ্ঞরা। প্রকৃতপক্ষে, পাকিস্তান বিগত কয়েক বছর ধরে তুরস্ক ও মালয়েশিয়ার পাশাপাশি ইসলামিক দেশগুলোর মধ্যে নিজেদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের ডাকা বৈঠরে মাত্র ২০টি দেশের নেতার আগমনে তাদের সেই প্রচেষ্টার উপর প্রশ্ন উঠেছে। শুধু তাই নয়, সংগঠনের ৫৭টি দেশের মধ্যে ৫টি দেশের নেতারা ইসলামাবাদের বদলে দিল্লিতে উপস্থিত ছিলেন। ইসলামাবাদের পরিবর্তে ইসলামিক দেশগুলোর নেতাদের দিল্লিতে আসা পাকিস্তানের কাছে বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের বৈঠকে আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য একটি ট্রাস্ট ফান্ড গঠনে সম্মত হয়েছে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আবারও কাশ্মীর ইস্যুকে ইসলামের সঙ্গে যুক্ত করেন এবং সদস্য দেশগুলোর প্রতি সংহতির আবেদন জানিয়েছেন। তবে এই বিষয়ে অন্য কোনও দেশ কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। এটাও পাকিস্তানের কাছে বড় ধাক্কা হিসেবে মনে করা হচ্ছে।