ত্রিপুরায় বাম–কংগ্রেসের আসন সমঝোতা নিয়ে জোটের জট কাটল। এখানে মোট বিধানসভা আসন ৬০। আসন সমঝোতা হচ্ছিল না দুই দলের। ফলে জট তৈরি হয়েছিল জোটে। কংগ্রেসের ১৩টি আসনে প্রার্থী দিয়ে দিয়েছিল বামেরা। আর কংগ্রেসও তখন বামেদের চারটি আসন–সহ মোট ১৭টি আসনে প্রার্থী দিয়ে দেয়। এই নিয়ে তুমুল অস্বস্তি তৈরি হয়। অবশেষে দুই দলই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে এবং আসন সমঝোতা করে।
ত্রিপুরায় বিজেপি–আইপিএফটি সরকারকে হারানোই মূল লক্ষ্য তাঁদের। তাই বামেরা ১৩টি আসন ছেড়ে দেয় কংগ্রেসকে। আর কংগ্রেসও ছেড়ে দেয় বামেদের চারটি আসন। ফলে জোটের জট কেটে গিয়ে এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মরিয়া বাম–কংগ্রেস জোট। কংগ্রেস তফশিলি সংরক্ষিত আসন পাবিয়াচেরা আসন চেয়েছে বামেদের কাছে। সম্ভবত তাতে রাজি হয়েছে বামেরা।
এদিকে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএম ৪৩ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। এছাড়া শরিক দল সিপিআই, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক এবং নির্দলকে একটি করে আসন ছাড়ে। সব মিলিয়ে বামেদের আসন ছিল ৪৭টি। বামেদের বক্তব্য, কংগ্রেসের লড়ার কথা ছিল ১৩ আসনে। তারা ১৭ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। ফলে একটা মতানৈক্য তৈরি হয়। তবে সেটা ঠিক হয়ে গিয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার প্রার্থী প্রত্যাহারের শেষ দিন।
অন্যদিকে তিপ্রা মোথা একক লড়াই করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কংগ্রেস এবং বামেরা তাঁদের সঙ্গে জোটে আসতে আহ্বান করেছিল। যদিও তা প্রত্যাখ্যান করেছে প্রদ্যোৎ কুমার দেববর্মা। বামেদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাবিয়াচেরা তপশিলি আসন, তারা পেচারথল আসনের বদলে কংগ্রেসকে ছেড়ে দেবে। কংগ্রেস যেন চার আসনের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। বামেরাও মনোনয়ন বাকি আসন থেকে তুলে নেবে বলে জানিয়েছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup